পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের প্রয়াসই হবে এই সম্মেলনের অঙ্গীকার বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (আইইবি) মিলনায়তনে জাপার নবম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে জিএম কাদের বলেন, নয় বছরের সফল রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ব্যতীত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই শূন্যতা শুধু এই সম্মেলনে বিরাজ করছে না, গোটা দেশ ও জাতি তার অভাব অনুভব করছে। দলের প্রতিটি নেতাকর্মী-সমর্থকরা পল্লীবন্ধু শূন্যতাকে বুকের গভীরে ধারণ করে এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার করে এসেছি। এখনো স্বাধীনতার সুফল মানুষ ভোগ করতে পারছে না। সর্বাত্মক অর্থনীতির মুক্তি আসেনি, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক সমাজ জীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে এখনো অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। বেকারত্ব যুবসমাজকে হতাশাগ্রস্ত করে রেখেছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাজ করছে শূন্যতা। সহমর্মিতা ও সহনশীলতার রাজনৈতিক প্রবণতা ক্রমান্বয়ে ক্ষীণ হয়ে আসছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মূলমন্ত্র ছিল বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নই এখন আমাদের রাজনীতি, আমাদের সংগ্রাম, আমাদের যুদ্ধ।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব ও সংসদ সদস্য (এমপি) মশিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সালমা ইসলাম প্রমুখ।

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি ছাড়াই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে সকাল থেকে পার্টির নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন। 

বিএস