• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২০, ০৯:৫৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৫, ২০২০, ১০:০৮ এএম

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চবি

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চবি
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার (৪ মার্চ) গভীর রাতে বগি ভিত্তিক সংগঠন বিজয় আর সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় এ এফ রহমান হলে ভাঙচুর এবং ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

পরে অভিযান চালিয়ে ৫৭ জনকে আটক করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

চবি ছাত্রলীগের কনকর্ড ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ নগরীর সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী এবং বিজয় গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলে কনকর্ডের কর্মী বোরহানুল ইসলাম আরমানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় আবির নামে বিজয়ের এক কর্মীর। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে আবিরকে কুপিয়ে জখম করে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এর রেশ ধরে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শাহ জালাল হলের সামনে সিক্সটি নাইন গ্রুপ অবস্থান নিলে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করে। পরে তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হল থেকে এবং কনকর্ড গ্রুপ শাহাজালাল হলের সামনে থেকে পাল্টাপাল্টি ইট ও ভাঙ্গা কাচ ছুঁড়তে থাকে। এক পর্যায়ে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা কনকর্ডের কর্মীদের উপর হামলা করতে করতে শাহ জালাল হলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এরপর শাহাজালাল হলের গেইট ও ভেতরে দাফায় দফায় দু’গ্রুপে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়।

সংঘর্ষে আহত এক ছাত্র   - ছবি : সংগৃহীত

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে উভয় পক্ষকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সীমান্ত দাস, একই শিক্ষাবর্ষের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বেলায়েত আকতার ও দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান। আটক অন্যজন হলেন বহিরাগত। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা আরিফ। বর্তমানে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদিন আগে সৃষ্ট অন্য পক্ষগুলোর সংঘর্ষের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই তারা আমাদের কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় তারা আরও প্রশ্রয় পাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ও কনকর্ড গ্রুপের নেতা আব্দুল মালেক বলেন, তাদের (বিজয়ের) একটা ছেলে আমাদের এক ছেলেকে কিছুদিন আগে মারধর করে। আমি তাদের বলেছিলাম এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। পরে আমাদের ছেলেরা ক্ষোভে তাদের এক কর্মীকে মারধর করে।

দেড় মাসের ব্যবধানে চবি ছাত্রলীগে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। 

এফসি