• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০১৮, ০৮:১৮ পিএম

উত্তরায় জনশূন্য রহস্যময় বাড়ি

উত্তরায় জনশূন্য রহস্যময় বাড়ি
রাজধানীর উত্তরায় জনশূন্য সেই বাড়ি - ছবি: জাগরণ

 

রাজধানীর উত্তরায় দীর্ঘদিন থেকে  জনশূন্য পড়ে আছে একটি বাড়ি। ৭ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডের ১৭ নম্বরের এ বাড়িটিতে এক সময় ‘ইভিনিং ইসলামিক স্কুল’ নামে  একটি স্কুল পরিচালিত হতো। জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে ৬ তলা বাড়িটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকদফা অভিযানের পর স্কুলটি গুটিয়ে সবাই পালিয়ে যায়। ব্যস্ততম এলাকায় এমন ভুতুড়ে অবস্থায় পড়ে থাকা বহুতল আধুনিক বাড়িটি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। তালাবদ্ধ বাড়িটিতে গত প্রায় এক বছরের মধ্যে মালিকেরও আনাগোনা দেখা যায়নি।

স্থানীয় বেলাল হোসেন আরমান জানান, ‘ওয়াম্মী দিল’ নামে ছয় তলা বাড়ির মালিক একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বলে স্থানীয় লোকজন জানে। তিনি বিদেশে থাকেন। স্থানীয় লোকজন কখনো তার দেখা পায়নি। জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা ও র‌্যাবের একাধিক সাঁড়াশি অভিযান চলে। ফলে প্রাণভয়ে সবাই পালিয়েছে দাবি আরমানের।  

এবিষয়ে উত্তরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মুশফিকুর রহমান জানান,ওয়াম্মী দিল নামের বাড়িটিতে আরবী নাদওয়া এবং ওর্য়াল্ড এ্যাসেম্বলী অব মুসলিম ইয়ুথ নামে একটি অর্গানাইজেশনের কার্যক্রম চলতো। এছাড়া ভবনটির পাশের প্রাইভেট হাসপাতালের সুপারভাইজার জানান, ওয়াম্মী ভবনে আরবী শিক্ষার পাশাপাশি পাকিস্তান ও সৌদিআরবের লোকজনের যাতায়াত ছিল। জঙ্গির আনাগোনা হচ্ছে, এমন সন্দেহে তখন থেকে ওই ভবন গোয়েন্দাদের টার্গেটে পরিণত হয়। এরপরই চলে আইনঙ্খখলা বাহিনীর অভিযান।

প্রতিবেশী সামির এন্টারপ্রাইজের মালিক সোহেল জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ওই ৬ তলা ভবনে কিছু বিদেশি লোকের আনাগোনা দেখা যায়।  আর তখনি আশপাশের লোকজনের নজরে আসে ভবনটি।

স্থানীয় সোর্সের তথ্যের উপর নির্ভর করে ভবনটিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি শুরু হয়। উত্তরা জোনের এসবিসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রির্পোটের ভিত্তিতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা ওই ভবনে একাধিকবার অভিযান চালায়। কিন্তু জঙ্গি সংশ্লিষ্ট কোন আলামত পায়নি তারা। একের পর এক অভিযানের ফলে ওই ভবনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে তালা দিয়ে লোকজন পালিয়ে যায়।  এ অবস্থায় দীর্ঘ ১০/১১ মাস ধরে খালি পড়ে আছে ভবনটি।

উত্তরা থানার ওসি আলী হোসেন জানান, এ বাড়ি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা ওই বাড়িটি নজরদারিতে রেখেছি। একাধিবার ওই বাড়িটি সার্চ করেছি। বর্তমানে ওই বাড়িতে কোন লোকজন নেই। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি ।

এইচ এম /জেডএস