শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে।

ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সরকার সাধারণ ছুটি আর বাড়াবেনা বলে ঘোষণা দেয়ায় লোকজন এখন কর্মস্থলমুখী হচ্ছে। তবে লঞ্চ, সিবোট এখনও চলাচল না করায় ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এখান থেকে করোনা সংক্রমিত হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ ছুটছে কর্মস্থল ঢাকা ও তার আশেপাশের জেলাগুলোতে। যখনই ওপার কাঁঠালবাড়ি থেকে কোনও ফেরি আসছে, তাতে মানুষ আর মানুষ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে ফেরিতে থাকা দু-একটি গাড়িও। 

শিমুলিয়া ঘাটে আসার পর যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে নেমে ছুটছে গাড়ি ধরার জন্য। কিন্তু সেখানে গাড়ি না পেয়ে তারা ছোট ছোট গাড়ি বিশেষ করে পিকাপভ্যান, অটো রিক্সা উবারের অফলাইনের মোটরসাইকেল, গাড়ি ও মাইক্রোতে ঢাকার দিকে ছুটছে। এতে তাদের কয়েকগুণ ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে। এরপরে আবার বিপত্তি দেখা দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া ভাড়ার গাড়ি চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ভাড়ার গাড়িগুলো আটকিয়ে দেয়ায় যাত্রীরা পড়ছেন যানবাহন সঙ্কটে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই  হিলাল উদ্দিন জানান, আজ সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। কিন্তু যানবাহনের অভাবে এসব যাত্রীরা ঢাকায় ফিরতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ী ছাড়া ভাড়ার গাড়ি চলচল নিষেধ থাকায় আমরা বেশ কিছু ভাড়ায় চালিত মাইক্রো ও প্রাইভেট কার জব্দ করেছি। এগুলো বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি আইসি পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, সকাল থেকে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দক্ষিণবঙ্গমুখী তেমন কোনও গাড়িই নেই। ভোরের দিকে হালকা যানবাহন থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। সরকার সাধারণ ছুটি সমাপ্ত ঘোষণা করায় লোকজন এখন কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব এখানে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এতে কারও শরীরে করোনা থাকলে তা সংক্রমিত হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

এসএমএম