• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯, ০৬:২৬ পিএম

কিশোরগঞ্জের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা বাক-প্রতিবন্ধী, ধর্ষক গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা বাক-প্রতিবন্ধী, ধর্ষক গ্রেফতার
ধর্ষক অন্তর -ছবি : জাগরণ

 

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ঝুমাপুর থেকে ২মাসের অন্তঃসত্ত্বা বাক-প্রতিবন্ধী কিশোরীর সুবর্ণা আক্তারের (১৪) ধর্ষণকারী অন্তরকে (১৬) গ্রেফতার করেছে ভৈরব র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‍্যাব-১৪)। 

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, ০২/০১/২০১৯ তারিখে সুবর্ণার মাথা ব্যাথা ও বমি ভাব হলে ০৩/০১/২০১৯ তারিখে পরিবারের সদস্যরা তাকে বাজিতপুর আল-নোমান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে জানতে পারে সুবর্ণা ৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্তা।

পরে সুবর্ণাকে তার মা বাবা জিজ্ঞাসা করলে, সুবর্ণা ইশারা কাগজে লিখে দেখায় গত ১৫/১০/২০১৮ তারিখে রাত ৮টার সময় সুবর্ণা তার নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফুসলিয়ে অন্তর আলি তার নিজ বাড়িতে তার ঘরে নিয়ে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে সুবর্ণার বাবা মা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি জানালে ০৭/০১/২০১৯ তারিখে অভিযুক্ত অন্তরের মা ও চাচার সঙ্গে গ্রামের সালিসে বসলে অভিযুক্ত অন্তর ঘটনার সত্যতা শিকার করে ৩দিনের মধ্যে বিয়ের আশ্বাস দেয়। ৩দিনে কোন সমাধান না হলে, ১০/১/২০১৯ পরবর্তিতে সুর্বনার বাবা বাজিতপুর উপজেলা কর্মকর্তা কাছে অভিযোগ করলে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম নাহিদকে বিষয় মিমাংসার জন্য ২দিনের সময় দেন।

ইউপি চেয়ারম্যান ২দিনে মিমাংসা দিতে ব্যর্থ হলে সুবর্ণার বাবা বাদী হয়ে ১৫/০১/২০১৯ তারিখে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালত নং-৫ নারী ও শিশু পিটিশন মামলা করলে, আদালত অন্তরকে গ্রেফতারের আদেশ দেন।

এদিকে আদালতে মামলার খবর পেয়ে অন্তরের পরিবারের পক্ষ থেকে সুবর্ণার পরিবারকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার হুমকি দিতে থাকে। তারই প্রেক্ষিতে র‍্যাব শনিবার রাত ৩টায় আসামি অন্তর আলি ঝুমাপুর তার খালার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত অন্তরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব-১৪। মামলাটি কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ২নং আদালতে এ বিচারাধীন রয়েছে। 

উল্লেখ্য সুবর্ণা আক্তার বাজিতপুর থানার বালিগাও ইউনিয়নের মো.শফিকুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত অন্তর আলি একই এলাকার আহমদ আলির ছেলে। বাক- প্রতিবন্ধী সুবর্ণা আক্তার ৭ম শ্রেণির ছাএী এবং অন্তর আলি এসএসসি পরিক্ষার্থী। উভয়ই বালিগাঁও শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে।

এএস