• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯, ০৯:৩৯ পিএম

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক নিখিল সেন’র শেষকৃত্য সম্পন্ন

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক নিখিল সেন’র শেষকৃত্য সম্পন্ন

 

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরিশালের ভাষা সৈনিক নিখিল সেন এর অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল আদী মহাস্মশানে তার অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এর আগে প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা নিখিল সেনকে রাষ্ট্রিয় শ্রদ্ধা গার্ড অব অনার প্রদান করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি চৌকশ দল।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রয়াতের মৃতদেহ নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলে নিয়ে আসা হয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও তাকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নেতা-কর্মীরসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এরপর প্রয়াত নিখিল সেন এর মৃতদেহের কফিন শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে নেয়া হয়।

এ সময় বরিশাল প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রিকা, সংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রয়াতের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সেখান থেকে তার মৃতদেহ উদীচী কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রয়াতের মরদেহ অন্তেষ্টিক্রিয়ার জন্য নগরীর কাউনিয়ায় আদী মহাস্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গার্ড অব অনার প্রদান পরবর্তী দাহকার্য সম্পন্ন হয়।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রয়াতের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তায়ন পরিবিক্ষন কমিটির মন্ত্রী মর্যাদার আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত আজিপি) মো. মোশারফ হোসেন, বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, একুশে পদক প্রাপ্ত ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট নাট্যকার, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক নিখিল সেন গুপ্ত সোমবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোক গমণ করেন।

সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও নাটকে বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক গ্রহন করেন। ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশালের কলশ গ্রামে জন্মগ্রহন করা যতীশ চন্দ্র সেন গুপ্ত ও সরোজিনী সেনগুপ্ত ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে শিল্পকলা পদক গ্রহন করেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি ও ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা এবং ২০০৫ সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী পদক পান নিখিল সেন।

রাজনৈতিক জীবনে কমিউনিস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নিখিল সেন ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখেন। কোলকাতা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তার জীবনের প্রথম নাটক সিরাজের স্বপ্ন। ওই নাটকের সিরাজ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে তার নাট্যজীবনের সূচনা হয়। তিনি নিজেই ২৮টি নাটকের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

এসসি/