• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০১৯, ০৮:২৮ এএম

সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সংস্কার কাজ

সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সংস্কার কাজ
ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্চারামপুর ও নবীনগর মহাসড়কে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সড়কে রেখেই সংস্কার কাজ হচ্ছে। ছবি- জাগরণ

 

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্চারামপুর ও নবীনগর মহাসড়কে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সড়কে রেখেই সংস্কার কাজ হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা (সওজ)-এর অধীনে ১৮ কিলোমিটার এ সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। 

সড়কটির স্থানীয় মাহমদুপর ইউনিয়নের সাদারদিয়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বৈদ্যুতিক একাধিক খুঁটি রেখেই কাজ সম্পূর্ণ করছেন শ্রমিকরা। তার পাশে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, গোপালদী জোনাল অফিসের বিদ্যুতের একটি সাবস্টেশন। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। 

এছাড়াও এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ এমন অসংখ্য খুঁটি রয়েছে। যা অপসারণ না করেই কাজ হচ্ছে। যে কোন সময় অসাবধনতাবশত এ সড়কে চলাচলরত গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
 
২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এর অধীনে প্রায় ৭১ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের সংস্কার ও প্রশস্থকরণ কাজের মোড়ক উন্মোচন করেন। রানা বিল্ডার্স এন্ড নাভানা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্পের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভুলতা থেকে সড়কটির সংস্কার ও প্রশস্থকরণ কাজ চলছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তায় রেখে প্রকল্পের কিছু অংশের কাজ শেষ করা হয়েছে। খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে থাকলেও এগুলো অপসারণ করা হয়নি। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের এসব বড় আকারের সিমেন্টের ঢালাইকৃত খুঁটি আগে থেকেই ছিল। সড়ক বর্ধিত করায় এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত হয়। তবে দ্রত অপসারণ করা না হলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

এদিকে, স্থানীয়রা জানান, সড়কটির কিছু কিছু স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এসব খুঁটি। এগুলো দ্রুত অপসারণ করা না হলে গাড়ি চলাচলের বিঘ্নিতসহ যে কোনো সময় ধাক্কা লেগে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এগুলো সরানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। 

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স এন্ড নাভানা কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার আকবর হোসেন বলেন, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের দায়িত্ব জেলা সওজের। তার পরও ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিগুলো সরানোর জন্য আমি একাধিকবার আড়াইহাজার ও গোপালদী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে অবহিত করেছি। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রকৌশলী আলিউর হোসেন বলেন, পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট ডিজিএমকে ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিগুলো সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তারপরও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এগুলো অপসারণ করেনি। 

নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, গোপালদী জোনাল অফিসের (ডিজিএম) শাহাদৎ হোসেন বলেন, বর্ধিত রাস্তায় অনেক খুঁটিই পড়েছে। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা পাওয়ার পর গেল ১৯ ফেব্রুয়ারি সড়কের বর্ধিত অংশে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি চিহিৃত করার কাজ শুরু হয়েছে। সার্ভে করা শেষ হলেই খুঁটি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সরিয়ে ফেলা হবে। 

শাহাদৎ হোসেন আরও বলেন, তবে এ পর্যন্ত সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে খুঁটি অপসারণ সংক্রান্ত কোন চিঠি বা মৌখিক নির্দেশনা তাকে দেওয়া হয়নি। 

কেএসটি