নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সোহেল মিয়া (২৮) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ ব্যক্তিকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- নিহত সোহেলের বন্ধু সিরাজ, মজিবুর, হাসান ও ইউছুফ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
এর আগে বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের টাওরা শিমুলতলী এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত সোহেল ওই এলাকার মুজিবুর রহমানের ছেলে ও ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাতটার দিকে সোহেলের বন্ধু একই এলাকার মৃত নুরউদ্দিনের ছেলে সিরাজ তাকে বাড়ি থেকে ডেকে পার্শ্ববর্তী সৈবুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে ফেরার পথে স্থানীয় তমুর লাউয়ের মাচা, মোশারফের বাড়ি ও লালমিয়ার বাড়ির সামনে আলাদা ৩টি স্পটে ২০/২৫ জন ব্যক্তি ওৎপাতে। তারা প্রথমে তমুর লাউয়ের মাচার সামনে সোহেলের উপর হামলা চালায়।
এ সময় প্রাণ বাঁচাতে সোহেল দৌড়াতে শুরু করলে লালমিয়ার বাড়ির সামনের গলিতে তাকে ফের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। হত্যাকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার দুটি পায়ের রগ কেটে ফেলে। পরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
নিহত সোহেল মিয়ার বাবা মুজিবুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা আমার ছেলেকে রগ কেটে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, ঘটনাটি পূর্ব শত্রুতার কারণে ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গত দু’সপ্তাহ পূর্বে সোহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সে ঘটনার যোগসূত্র আছে কিনা সেটা তদন্ত করছে পুলিশ।
কেএসটি