• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০১৯, ০৮:১৬ পিএম

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কেক কাটেনি কুবি প্রশাসন

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কেক কাটেনি কুবি প্রশাসন

 

কেক না কাটা, একাধিক বিভাগের ফুল না দেয়া, শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের সময়ে আলোকসজ্জা খুলে ফেলাসহ দায়সারাভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস পালন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কুবি শাখা ছাত্রলীগসহ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনগুলো।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতির জনকের জন্মবার্ষিকীতে কেক কাটা হয়নি। তাছাড়া শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ চলাকালীন সময়েই প্রশাসনিক ভবনের আলোকসজ্জা খুলে ফেলা হয়। এদিকে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেনি লোকপ্রশাসন, পরিসংখ্যান এবং ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে ভাস্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শামিমুল ইসলাম বক্তৃতার মাধ্যমে নামমাত্র আলোচনা সভা করা হয়।
তবে ফুল না দেওয়ার বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়ার বিষয়ে কোন নির্দেশনা পায়নি বলে জানান। আর পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি বলেন, যে ছাত্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে ফুল নিয়ে আসেনি। 
এদিকে ফুল দিতে গিয়ে নাম ঘোষণা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি জায়গায় প্রশাসনের এত বড় ভুল কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কেক কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেক না কাটা প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক।

এ বিষয়ে দিবসটির উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. মো. শামিমুল ইসলাম বলেন, এ বছরের অনুষ্ঠান সূচি করার সময়ে আমরা গত বছরের অনুষ্ঠান সূচি অনুসরণ করি। তবুও এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা তা নিষেধ করে গত বছরের ন্যায়ে পালন করার কথা বলে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, কেক কাটা উচিত ছিল কিন্তু এ বিষয়টি আমাদের ভুল হয়ে গেছে। তবে আলোকসজ্জার বিষয়ে আমার জানা নেই।


কেএসটি