• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০১৯, ০৫:২৮ পিএম

ভোলার তজুমদ্দিনে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ভাঙচুর

ভোলার তজুমদ্দিনে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ভাঙচুর
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর করা নির্বাচনি অফিস -ছবি : জাগরণ

 

ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে উভয় গ্রুপের অন্তত ৪টি নির্বাচনি অফিসসহ বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ৯ জনকে আটক করেছে। 

থানা পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানান, গত রাতে উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের কাটাখালী বাজারে নির্বাচনি প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর আনারস মার্কার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে রাতভর চলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। আস্তে আস্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ইউনিয়ন পরিষদ সামনের বাজার- মঙ্গল সিকদার চাচড়া বাজারে। এসময় একে অপরের উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে নৌকা ও আনারস মার্কার অন্তত ৪টি নির্বাচনি অফিস ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ, ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোররাতে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল হক দেওয়ান এবং বিদ্রোহী আনারস মার্কার প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল একে অপরকে হামলা, ভাঙচুরের জন্য দায়ী করেন। তবে মামলা না নেয়া ও সমর্থকদের পুলিশি হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল। 

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তজুমদ্দিন থানার ওসি মো. ফারুক আহমেদ বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, আগামী ৩১ মার্চ ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। 

রা উ/ এফসি