• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০১৯, ০৯:২৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৭, ২০১৯, ০৯:২৯ এএম

খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
জয়নগর বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এভাবে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান চলছে- ছবি : জাগরণ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৫৭ নম্বর জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে করে শিক্ষার্থীদের কখনো খোলা মাঠে আবার কখনো গাছ তলায় ক্লাস নেয়া হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম। এ কারণে বিদ্যালয়ের ৪৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, দেশ বিভাগের আগে ১৯৪৪ সালে এলাকার দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে টিনের ছাউনি আর ইটের দেয়ালে তৈরি কক্ষে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চললেও ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে নির্মিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনটি ২০১৬ সালে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়লে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। 

এছাড়াও ২০০৬-০৭ সালে পিইডিপি-২ এর আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে নির্মিত আরও একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের একটি কক্ষে অফিসিয়াল কার্যক্রম আর অপরটি শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে বা কখনো গাছ তলায় পাঠদান করানো হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. সাজেদা খাতুন বলেন, ৪৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে হিমশিম খেলেও বিদ্যালয়ের ফলাফল বরাবরই ভাল। তিনি আরও বলেন, এখন না হয় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষাকালে আমরা ওদের নিয়ে কোথায় যাব। 

প্রথম শ্রেণির ছাত্র সোহেল. ইমন, মুনতাসীর ও বিজয় বলেন, বাইরে ক্লাস করার সময় অনেক শব্দ হয়। রোদের মধ্যে ক্লাস করতে হয়। পড়ায় মন বসে না। 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) জিএম রাজগুল বাহার বলেন, পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারণ করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এদিকে কোন নজর নেই। 

স্কুলটি নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা মিজানুর আলম জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা আছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য তালিকার প্রথম সারিতে নাম পাঠানো হলেও অদৃশ্য কারণে তা হচ্ছে না। তারপরও জরুরি ভিত্তিতে যাতে স্কুলটির নতুন ভবন নির্মাণ হয় সে লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

কেএসটি