• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০১৯, ১০:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৯, ২০১৯, ১০:১১ এএম

হবিগঞ্জে আগাম জাতের ৭৪ধানে চিটা,বিপর্যয়ে কৃষকরা

হবিগঞ্জে আগাম জাতের ৭৪ধানে চিটা,বিপর্যয়ে কৃষকরা
ধানক্ষেত ঘুরে দেখছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ধানে চিটা ও ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। উঠতি বোরো ধানের এ বিপর্যয়ে তারা এখন দিশাহারা। মাত্র কয়েক দিন আগে যে কৃষক তার জমির পাশে দাঁড়িয়ে নির্ভাবনার স্বপ্ন বুনতেন, তারা আজ  গামছা দিয়ে চোখের পানি মুছছেন। হাওর অধ্যুষিত এলাকার কৃষকরা সব সময়েই আগাম বন্যার ঝুঁকিতে থাকেন। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে প্রায় প্রতি বছর আগাম বন্যায় তলিয়ে যায় কৃষকের সোনালি ফসল। 

গত বছরও ধান কাটার শেষের দিকে আগাম বন্যা এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। সে অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এ মওসুমে অনেক কৃষক স্বল্পজীবী  আগাম জাতের ৭৪ ধান আবাদ করেন। কিন্তু ধানে ব্যাপক হারে চিটা দেখা দেয়ায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। বেশ কয়েকটি হাওর সরেজমিন পরিদর্শন করে  ৭৪-ধানের বহু জমিতে চিটা দেখা গেছে। 

বিশেষ করে উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের বাগাহাতা,চমকপুর,লোহাজুরী,ধনপুর, বাতাকান্দী,বগী ,হারুনীসহ অনেক হাওরে চিটা দেখা দিয়েছে।  প্রায় সব এলাকার কৃষক ধানে চিটা দেখা দেয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এদিকে ধানে চিটা ছাড়াও গত কয়েক দিনের ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের উঠতি ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোন কোন জমিতে মাটির সঙ্গে মিশে ধান বিনষ্ট হয়ে গেছে। আবার কোন কোন জমিতে ধান গাছ দেখা গেলেও পুষ্ট হয়ে আসা ধান থেঁতলে ও ঝরে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রান্তিক কৃষকরা বিভিন্ন দায়-দেনা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। 

উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের  বাগাহাতা গ্রামের  মকার হাওরের কৃষক খাজা হোসেন প্রায় ৭ একর জমিতে ৭৪ ধানের আবাদ করেছিলেন। তার সম্পূর্ণ জমিতে চিটা হয়েছে।
চমকপুর গ্রামের কৃষক আজিজ মিয়া জানান, আমি ৭ কের জমিতে ৭৪ ধান আবাদ করেছিলাম ধান কোনো চাল নেই। ৭৪ জাতের ধানের আবাদ করা কৃকরা জানান, আমাদের স্থানীয় আনন্দ বাজারের বীজ ব্যবসায়ী শাহজাহানের কাছ থেকে আমারা ৩০০ টাকা ধরে প্যাকেট কিনে ধান আবাদ করেছি। তাদের দাবি ৭৪ধানের কোম্পানির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেবো। 

এ বিষয়ে বীজ ব্যবসায়ী শাহজাহান জানান, আমি নতুন ব্যবসায়ী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আনেকে বীজ সংগ্রহ করেছেন। তবে কৃষি পরিবার করপোরেশন লিমিটেডের ৭৪ জাতের ধান কেন এমন হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি। তবে তিনি বলেন কোম্পানির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এ বিষয়ে কি করা যায়।  

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আবু কাউসার
জানান, কাগাপাশা ইউনিয়নের অনেক কৃষক আমাকে মৌখিক ভাবে ৭৪ জাতের ধানের সমস্যার কথা জানিয়েছেন পরে আমি এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে হাওরে গিয়ে দেখেছি ধানের যে অবস্থা কৃষরা ধান কাটতেই পারবে না কারণ ধানের ছড়ায় কিছুই নেই। তিনি আরও জানান, যে কোম্পানির ধান সে কোম্পানি মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি। 

বিএস