• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০১৯, ০৮:৩৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৫, ২০১৯, ০২:৪৬ পিএম

একটি নৌকায় আটকে গেছে জনজীবন

একটি নৌকায় আটকে গেছে জনজীবন
কপোতাক্ষ নদের সাতক্ষীরা তালার কানাইদিয়া-কপিলমুনি খেঁয়াঘাট নৌকায় পাড় হচ্ছে এলাকাবাসী- ছবি: জাগরণ


কপোতাক্ষ নদের সাতক্ষীরা তালার কানাইদিয়া-কপিলমুনি খেঁয়াঘাটে মানুষ ও পণ্য পারাপারে একমাত্র মাধ্যম একটি নৌকা। আর এই নৌকা পারাপারে আছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। ঘাট ইজারাদার শুকুর আলী ও তার লোকেরা সেখানে একটি মাত্র নৌকা দিয়ে ব্যস্ততম ঘাঁটে মানুষ ও পণ্য পারাপার করছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, ঘাঁট ও নৌকা মাঝিকে প্রতিজন সাধারণ মানুষকে ২ টাকা করে ৪ টাকা দিতে হচ্ছে।

সাইকেলসহ গুণতে হচ্ছে ৫ টাকা করে দু’খাতে ১০ টাকা। মটর সাইকেল প্রতি ১০ টাকা করে ২০ টাকা। এছাড়া পণ্যসামগ্রী পারাপারে গুণতে হচ্ছে ভূতুড়ে মাশুল। একদিকে অতিরিক্ত ভাড়া অন্যদিকে একটি মাত্র নৌকায় করে খেঁয়া পারাপারে জনভোগান্তি বর্তমানে চরমে পৌঁছেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খেয়া পারে শুধু অতিরিক্ত ভাড়াই গুনতে হচ্ছে না। ঘাটেএকটি মাত্র নৌকা থাকায় পারাপারে জনভোগান্তিও বেড়েছে। বিস্তীর্ণ এলকার সাধারণ মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ও কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন কপিলমুনির এই ঘাট পার হতে অতিরিক্ত খরচ করতে হয়। একই সাথে একটা নৌকা  থাকায় তাদের সময় ক্ষেপন হয়। নৌকাটি একপাড় থেকে ও অন্যপাড়ে যাত্রী নিয়ে গেলে মানুষকে তা না ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এতে করে অনেক নির্দিষ্ট সময়ে চাকরি,ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে পারেন না। নদী পার হতে একটি মাত্রঘাট ও কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনোন কথা বলার সাহস পান না। এ অভিযোগ জনপদের প্রতিটি সাধারণ মানুষের।

ঘাট মালিক শুকুর আলীর প্রতিনিধি জুলফিকার আলী সানা জানান, তারা ৫ জনের যৌথ মালিকানায় এবার তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকায় খেঁয়া ঘাট ইজারা নিয়েছেন। নদীর উপর সাঁকো মেরামত থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে শ্রমিকের মজুরি দিতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে তারা অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন।

এদিকে, ঘাটে পারাপারে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার কথা থাকলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে ঘাটে কোনো চার্ট বা তালিকা ঝুলিয়ে রাখেননি। ফলে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

স্থানীয় জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুলহক লিটুর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। এটা অত্যন্ত দু:খজনক ঘটনা। তিনি এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এসসি/টিএফ