• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৬, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ববি শিক্ষার্থীদের

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ববি শিক্ষার্থীদের

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ কিংবা ছুটির সিদ্ধান্তের পদক্ষেপ লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সমঝোতা বৈঠকের সিদ্ধান্তে সহমত প্রকাশের প্রায় দুই ঘণ্টা পরে শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব মিলানায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম- বৈঠকে আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটা অংশ এসেছি। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে যেসব বিষয় উঠে আসবে সেগুলো নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই আন্দোলনের বিষয়ে জানানো হবে। কিন্তু এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ কিছু ব্যক্তি আন্দোলন স্থগিতের অপপ্রচার করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই উপাচার্যের পদত্যাগ কিংবা ছুটির বিষয়ে লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

সেই অনুযায়ী পূর্বের ন্যায় রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। পাশাপাশি পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

এর আগে শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বরিশাল সার্কিট হাউসে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রশাসন, রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আন্দোলন করে আসছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেন। এর প্রতিবাদে জোরদার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।

২৬ মার্চ থেকে তাদের লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ডিসি অফিস ঘেরাও, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ, নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে লিখে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি, উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ ও মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের দুদিনের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

এফসি