• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০১৯, ০৫:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৬, ২০১৯, ০৫:৩২ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রেণিকক্ষের প্লাস্টার ধসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রেণিকক্ষের প্লাস্টার ধসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফতেহপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত পুরাতন ভবন -ছবি : জাগরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ফতেহপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলাকালিন ছাদের কনক্রিট প্লাস্টার ধসে কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ ও এক শিক্ষক আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফতেহ্পুর গ্রামে ১ম ও ২য় শ্রেণির পাঠদানকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিনই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছেন।

জানা যায়, ১৯৩৭ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এটি সরকারিকরণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়টির ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯৫ সালে। বিদ্যালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুই ভবন সংস্কারের অভাবে বর্তমানে জরার্জীর্ণ অবস্থায়  প্রতিটিরুমের কনক্রিট প্লাস্টার ধসে রড বেড়িয়ে গেছে। ২০০৮ সালে এলজিইডি থেকে পশ্চিমাংশে দুইটি ক্লাসরুম বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। সেটিতে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস করা হয়। বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির কমলমতি শিশুদের ক্লাস নিতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কমলমতি শিশুরা লেখা পড়া করছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব কনক্রিট প্লাস্টার ধসে পরার ঘটনা ঘটছে।

দুর্ঘটনা কবলিত ক্লাসরুমের ফজলুল হক, মিতা, জাহিদুন, লিমন কমলমতি এসব শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের প্রতিনিয়তই এসব দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। ক্লাস করার সময় আমরা ভয়ে থাকি এই বুঝি কনক্রিট ধসে আমাদের শরীরে পড়ে।

স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ফরিদা বেগম বলেন, এই স্কুলে ২৬ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকিতে এই জরাজীর্ণ ভবনে শিশুদের নিয়ে ক্লাস করে আসছি। অনেকবার এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক ছাত্র/শিক্ষক আহত হয়েছে।

সিনিয়র শিক্ষক মনিরাণী শীল বলেন, আমি ১৫ বছর ধরে এ স্কুলে শিক্ষকতায় এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কমলমতী শিশুদের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি, ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় কখন পুরো ভবনটি সম্পূর্ণ ধসে পড়ে।

স্কুলের প্রাধান শিক্ষক রাশিদা আক্তার বলেন, আমি গত বছর এপ্রিল মাসে এ স্কুলে যোগদান করেছি। ওই মাসের ২৮ তারিখ ১ম দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই দিনই ওই রুমে পরীক্ষা চলাবস্থায় দুপুরে আবারো দুর্ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে দু’বার ঘটনা ঘটেছিল। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছিলাম। কিন্তু প্রায় ১ বছর হতে চললো আদৌ স্কুলটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তপক্ষ। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশু সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফ রফিকুল ইসলাম বলেন. আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের তালিকা ওই সময়ই পাঠিছয়েছিলাম, এখন আবারও পাঠাবো। প্রাথমিক অবস্থায় শিশুদের নিরাপত্তায় কি করা যায় আমারা ভেবে দেখছি ।  

একেএস