• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০৮:৩০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০৮:৩০ এএম

গলাচিপায় ঝুঁকিপূর্ণ ২৮ বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান

গলাচিপায় ঝুঁকিপূর্ণ ২৮ বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান
গলাচিপা উপজেলার ১০৪ নং ছয় আনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাত বছর ধরে পরিত্যক্ত- ছবি : জাগরণ

উপকূলীয় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১১টি বিদ্যালয় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। নেই শিক্ষা-সহায়ক পরিবেশ ।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এসব বিদ্যালয় ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। আবার কিছু ভবনের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে গেছে। দরজা-জানালা অনেক আগেই খুলে পড়ে গেছে, কোথাও কোথাও ছাদের বিমে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। বর্ষায় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। যেকোনো মুহূর্তে ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

গলাচিপা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৯৯টি। এর মধ্যে ২৮টি বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ১১টি বিদ্যালয়ের ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। এই বিদ্যালয়গুলোকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১০৪ নং ছয় আনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটখালী, গলাচিপা মডেল, গোলখালী হালিমা খাতুন, উত্তর গোলখালী, ছোট গাবুয়া, বড় গাবুয়া পল্লী উন্নয়ন, প: চর কাজল, মধ্য চর বিশ্বাস, কালাই কিশোর এবং পানপট্টি কাজিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে চিহ্নিত করেছে। বাস্তবে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের সংখ্যা আরও বেশি।

১০৪ নং ছয় আনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, প্রায় সাত বছর আগেই বিদ্যালয়টি মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে। বৃষ্টি এলে অলিখিত ছুটি হয়ে যায় বিদ্যালয়। পানপট্টি কাজিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে ভয় পায়, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পাঠদান করতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।

কেএসটি