লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা উপজেলায় ফণীর আগাম ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন সময়য়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ ঝড়ে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রাম। শুধুমাত্র এ উপজেলায় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও এ ঝড়ে তিন উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ধান, ভুট্টা, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে গেছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতী এলাকার বাসিন্দা নিবারণ চন্দ্র রায় ও মকবুল হোসেন ও আলী আহম্মেদ জানান, প্রচন্ড ঝড়ের তাদের বাড়িঘর উড়ে গেছে। কোনো কিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এখন তারা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেও জানান, হঠাৎ প্রবল বেগে ঝড়ের তান্ডব শুরু হয়। এতে তার ইউনিয়নের শতাধিকের ওপর কাচা ও টিনশেডের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। গাছপালার পাশাপাশি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসবের তালিকা করার কাজ চলছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই কিছু এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছে।
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিদু ভূষণ রায় জানান, তিন উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে।
কেএসটি