• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৪, ২০১৯, ০১:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৪, ২০১৯, ০১:০৫ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ফণী

সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা

সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা


ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সুনামগঞ্জে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও আজ শনিবার সকাল থেকেই প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস সহ বৃষ্টি হচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে হাওর এলাকার মানুষ ফসল কাটার কাজ বন্ধ রেখেছেন। 

অন্যদিকে রোদ না ওঠায় কৃষকরা মাড়াই করা ধান শুকাতে পারছেন না। ধান খোলায় জমানো রয়েছে। এভাবে আর কিছুদিন চললে ধানের রঙ ও গুণগতমান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আশংকা করছেন কৃষক। 

অবশ্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দাবি করেছে, শুক্রবার পর্যন্ত হাওর এলাকায় মোট ১ লাখ ৭২ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। এছাড়া হাওর ছাড়া মোট ৫২ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে কাটা হয়েছে ২৬ হাজার হেক্টর জমির ধান।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত ৪৭ সেন্টিমিটার রয়েছে। তবে পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে শ্রমজীবীরা কর্মহীন দিনযাপন করছেন।  

সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, মেঘ বাদলের কারণে তিন দিন ধরে হাওরে ধান কাটা বন্ধ রয়েছে। মানুষ হাওরে গিয়ে টিকে থাকতে পারে না। বৃষ্টি হলে ধান কাটা যায় কিন্তু তুফান থাকলে ধান কাটা যায় না। পুরো হাওর এলাকায় এখন ঝড়তুফান শুরু হইছে। মানুষ কাজকর্ম বাদ দিয়ে ঘরের বসে আছে। একই গ্রামের তাজুল ইসলাম বলেন, ‘খোলা ভর্তি মাড়াই করা পাকা ধান রইদের লাইগায় হুকাইতাম পারি না। আর কয়েদিন এরম থাকলে ধানে গ্যারা আইবো।’ 
মুখলেছ মিয়া বলেন, ‘তুফানের লাগিয়া হাওর তো দূরের কথা খলায়ও কামকাজ করণ যায় না। বৃষ্টিতে ভিজে খলা নষ্ট হয়ে গেছে। ধান হুকানির লাইগা ত্রিপাল কিনন লাগবো।’

গুয়াচুড়া গ্রামের হিদন মিয়া বলেন, ‘ঝড় তুফানের কারণে হাওরের ধান কাটা বন্ধ রয়েছে। মাড়াই খলায় ধান ভিজে নষ্ট হচ্ছে। স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মন্নাফ বলেন, হাওরের সব জমি ধান কাটা হয়ে গেছে। তাহিরপুর, ধর্মপাশা, শাল্লা, দিরাই, জগন্নাথপুর, জামাগলঞ্জ এসব এলাকার হাওরের সব ধান কাটা হয়ে গেছে। সদর দোয়রাবাজার বিশ্বম্ভরপুর এলাকায় কিছু ধান কাটার বাকি রয়েছে। তারা দেরিতে রোপণ করেছে। এছাড়া ধান গুলো হাওরের উচু এলাকায় অবস্থান হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হবে না।  তবে শিলাবৃষ্টি হলে ক্ষতি হতে পারে। যারা ধান শুকাতে পারছেন না তারা বড় ঘরে ধান ছড়িয়ে দিয়ে ফ্যানের বাতাস দিলে ধান কিছুটা শুকাবে।  

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন, পানি প্রবাহের যে রেট সেটা সব সময় এক রেশিওতে কন্টিনিউ করে না। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে পানি বাড়বে না কমবে তা জানাতে পারবো।

আরআই