• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৮, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৮, ২০১৯, ১২:৫২ পিএম

নোয়াখালীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-শ্বশুর পলাতক

নোয়াখালীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-শ্বশুর পলাতক

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে আমেনা বেগম নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার চরবাটা ইউপির পশ্চিম চরমজিদ গ্রামের লিটনের বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আমেনা বেগম দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের রবিউল হকের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক। 

নিহতের ৩ বছরের শিশু কন্যা মেঘলা জানান, তার বাবা শেখ ফরিদ তার মা আমেনাকে মেরেছে।

বিকালে আছরের নামাজের পর আমেনাকে রান্না ঘরে রান্না করতে দেখেছে বাড়ির লোকজন। ৫ টার দিকে তাদের ভেতরে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যাযে ঘর থেকে আমেনার মেয়ের কান্নার শুনে বাড়ির লোকজন ভেতরে গিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় আমেনাকে দেখতে পায়।   

নিহত গৃহবধূর পরিবারের ভাষ্যমতে, ২০১৫ সালে পশ্চিম চরমজিদ গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে শেখ ফরিদের সঙ্গে আমেনার বিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে ফরিদ যৌতুকের জন্য আমেনাকে মারধর করতো। পরে নিরুপায় হয়ে যৌতুকের টাকা বাবদ ফরিদকে একটি সিএনজি দেন তারা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে টাকার জন্য পুনরায় আমেনাকে মারধর করতে থাকে ফরিদ। আমেনা বিষয়টি তাদের জানিয়ে ছিল।

নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বিকালে আমেনা যখন রান্না করছিল তখন ফরিদ বাড়িতে আসে এবং রান্না ঘর থেকে বসতঘরে নিয়ে আমেনাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য আমেনার মৃতদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ফরিদ।   

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া করা হবে।

একেএস