স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি ইয়াকুব আলী কাজল (২৩) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের একটি বাঁশবাগানে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত কাজল গাড়াডোব গ্রামের জালাল উদ্দীন হাবুর ছেলে।

গাংনী থানার পরিদর্শক তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে ধর্ষণ ও এসিড নিক্ষেপের অপরাধ স্বীকার করে কাজল। তার নেতৃত্বে গাড়াডোব গ্রামের বেশ কয়েক যুবক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছে রয়েছে বেশ কয়েকটি অস্ত্র। সে মোতাবেক অস্ত্র উদ্ধারে গাড়াডোব গ্রামে যায় পুলিশের একটি দল। এসময় কাজলের দলের লোকজন পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। এতে লিশের দুই জন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে কাজলকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাড়াডোব গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ পূর্বক দলবদ্ধ ধর্ষণ করে কাজলসহ কয়েকজন। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি হচ্ছে ইয়াকুব হোসেন কাজল। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপন করে ধলা গ্রামের দুঃসম্পর্কের ভগ্নিপতি সেলিম হোসেনের বাড়িতে। সেখানে বেশ কয়েক মাস বসবাস করে আসছিল। এসময় ধলা গ্রামের এক গৃবধূকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর জেরে গৃহবধূর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে কাজল। ওই ঘটনায় শুক্রবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। গৃহবধূ গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

কেএসটি