• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম

বোয়ালমারীতে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

বোয়ালমারীতে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের চণ্ডীবিলা গ্রামে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতদের কয়েকজন

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চণ্ডীবিলা গ্রামে বুধবার (১৫ মে) সকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের ১০-১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ৯ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘোষপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক এস এম ফারুক হোসেনের সমর্থক চণ্ডীবিলা গ্রামের কাজী রফিউদ্দিন ও সাবেক চেয়ারম্যান চান মিয়ার সমর্থক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জামাল মেম্বারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বুধবার সকালে ঘোষপুর ইউনিয়নের চণ্ডীবিলা মধুমতী নদীর বালুমহাল ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

সংঘর্ষে ঘোষপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মুন্নু মোল্যা (৪০), স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক কাজী রফিউদ্দিন (৫৫), তার ছেলে কাজী শিমুল (৩২), কাজী শামীম (৩০), সাইফার (৩৫), মোস্তফা মোল্যা (৫০), সাইফুর রহমান (৫০), আব্দুর রাজ্জাক (৭০), মতিয়ার রহমান (৪৫), কবির হোসেন (৫৫) ও সাহেব আলীকে (৩৫) আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ফারুক হোসেন বলেন, ‘বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চান মিয়া এবং আলাউদ্দিন আহমেদের সমর্থক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জামাল মেম্বার ও আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আগের রাতে বোয়ালমারী থানার পুলিশের সাথে গোপন আঁতাত করে এই হামলা চালানো হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।’

আওয়ামী লীগের নেতা ও ঘোষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চান মিয়া বলেন, ‘আগের দিন রাতে আমার লোকদের ওপর ঘোষপুর ইউপির চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের লোকেরা হামলা চালিয়ে আহত করে। এ কারণে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া প্রায় দুই সপ্তাহ আগে চেয়ারম্যানের সমর্থক কাজী রফিউদ্দিনের নেতৃত্বে আমার দলীয় ঘুমন্ত লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়।’

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। হামলার ব্যাপারে পুলিশের পক্ষপাতের অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।

এনআই