• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০৯:১৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০১৯, ০৩:৪০ পিএম

ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলে পারাপার হচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষ

ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলে পারাপার হচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষ
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ সদর ও খাউলিয়া দু’ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খালের উপড় নির্মিত জরাজীর্ণ কাঠের পুল -ছবি : জাগরণ

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ সদর ও খাউলিয়া দু’ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খালের উপর কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে জরাজীর্ণ দুটি কাঠের পুল। ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন এই পুল দু’টি যেমন নড়বড়ে তেমনি নেই কোন রেলিংয়ের ব্যবস্থাও। আর তা দিয়েই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার এলাকাবাসী। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি, জরাজীর্ণ এই পুল সরিয়ে কালভার্ড নির্মাণ। 

সরেজমিনে দেখা যায়, মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া গ্রাম ও খাউলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খাউলিয়াসহ দুই গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র সংযোগ মাধ্যম এ কাঠের পুলটি। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে এভাবেই  দুই গ্রামের বাসিন্দারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন। কোন ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে এ পুলটি নির্মিত হবে এ নিয়ে চলছে দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের টানাপড়েন। আর এটিই পুলটি নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতার কারণ বলে এলাকাবাসীর ধারণা।

এখানে রয়েছে একটি মাদ্রাসা, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০টি মসজিদ, ৮টি মন্দিরসহ বাজার। প্রতিনিয়ত পুল দু’টি থেকে পারাপারে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীরা।

এ বিষয়ে কথা হয় টি.এম মাহফুজ আহম্মেদ মামুন গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এ পুলটি দিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে।

পথচারি শামসুল হক, সরোয়ার শেখ, একাধিক পথচারিরা সংবাদকর্মীদের বলেন, সরকারের কাছে দাবি জনগুরুত্বপূর্ণ এ পুলটিতে একটি কালভার্ড নির্মাণের।

এ বিষয়ে খাউলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাস্টার আবুল খায়ের হাওলাদার বলেন, পশ্চিম খাউলিয়া ও নিশানবাড়িয়া সীমান্তবর্তী পুলটি ইতোপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধ থেকে কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। কালভার্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লিখিতভাবে আবেদন করা হয়ছে।

মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ আলী হাওলাদার বলেন, যদিও দু’টি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কাঠের পুলটি মোড়েলগঞ্জ ইউনিয়নের আওতায় নয়। পুলটি খাউলিয়াইউনিয়নের আওতায় পড়েছে সেক্ষেত্রে ওই ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধের মাধ্যমেই মেরামত করবেন সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান।

একেএস