• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০১৯, ০৭:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৯, ২০১৯, ০৭:৪৮ পিএম

ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

নড়াইলের লোহাগড়ায় পৌর এলাকায় মা শেফালী রায়কে (৮১) অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ছেলে শংকর রায় ও তার স্ত্রী কণা রায় বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শেফালী রায়ের শেষ আশ্রয়স্থল হয়েছে লোহাগড়া পৌর এলাকার পোদ্দারপাড়া সর্বজনীন মন্দিরে।

খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সেখানে গেলে শেফালী রায় অভিযোগ করে বলেন, ‘ছেলে ও ছেলের বউ আমাকে মারধর করে প্রতিনিয়ত। ঠিকমতো খেতেও দেয় না। ইচ্ছা ছিল স্বামীর ভিটায় বাকি জীবনটুকু কাটাব। কিন্তু তারা আমাকে (২৭ মে) রাতেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভোর না হতেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হবে। তা না হলে মেরে ফেলবে। তাই (মঙ্গলবার ২৮ মে) প্রাণভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে এই মন্দিরে আশ্রয় নিই। সকাল থেকে কেউ আমাকে দেখতে আসেনি। আমি আমার স্বামীর ভিটায় ফিরে যেতে চাই।’ এসব কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন শেফালী।

জানা গেছে, লোহাগড়া পৌর এলাকার পোদ্দারপাড়া গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন রায়ের স্ত্রী শেফালী রায়। বৃদ্ধা তার স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটেতেই জীবনের শেষ সময়টুকু থাকতে চান। বৃদ্ধার ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছেন। বড় ছেলে শংকর রায় কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ছিলেন। অপর ছেলে বিশ্বনাথ রায় যশোরের ঢাকা রোডে মোটর পার্টস ব্যবসায়ী। স্ত্রী কৃষ্ণা রায় ও সন্তানদের নিয়ে যশোরে বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। মায়ের তেমন একটা দেখভাল তিনি করেন না। শংকর রায় পিতার রেখে যাওয়া প্রায় অর্ধকোটি টাকার ভিটাজমির ওপর দ্বিতল ভবনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

মেয়ে মিনতি সাহা, কণিকা সাহা, মনিকা সাহা ও ছবি রানী সাহা সবাইকেই ভালো পাত্রস্থ করেছেন চিত্তরঞ্জন ও শেফালী। সবাই স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ভালো থাকলেও বৃদ্ধা মায়ের দায়িত্ব কেউ নিতে চান না।

পোদ্দারপাড়া মন্দিরে গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত শংকর রায় সেখানে উপস্থিত হয়ে বলেন, মা রাগ করে বাড়ি থেকে এসে মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি মাকে বাড়িতে নেওয়ার জন্য এসেছেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বৃদ্ধা শেফালী রায়কে তার ছেলে ও ছেলের বউ প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাররম হোসেন বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনার সংবাদ আমার জানা নেই।’

এনআই