• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২, ২০১৯, ০৯:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২, ২০১৯, ০৯:৩২ এএম

৩ কি.মি. সড়কের পুরোটাই খানাখন্দ

৩ কি.মি. সড়কের পুরোটাই খানাখন্দ

পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর বাইপাস থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের পুরোটাই ভাঙাচোরা। চলাচলের অযোগ্য এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন হাসপাতালসহ উপজেলা ও জেলা শহরে যেতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। গত প্রায় ৭-৮ বছর ধরে এমন অবস্থা চললেও এই তিন কিলোমিটার সড়ক এখন দুঃখ ৪ লাখ মানুষের।

শুধু ওই তিন কিলোমিটারই নয়, চাটমোহরে সড়ক ও জনপদের বেশিরভাগ সড়কই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কের অধিকাংশ জায়গায় পিচ, পাথর ও খোয়া উঠে মাটি বের হয়ে সড়কে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া গ্রাম থেকে উপজেলা শহরে আসছেন না কেউ। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব।

সেই সাথে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী ও যানাবহনে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষকে। অথচ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও এ ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন এলাকার মানুষ। কিছুতেই ভাঙা সড়কের কারণে দুঃখ কাটছে না চাটমোহরবাসীর।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তার মধ্যে মথুরাপুর বাইপাস থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার, বাসস্ট্যান্ড থেকে হরিপুর হয়ে সোন্দভা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার, জারদ্রিস মোড় থেকে পার্শ্বডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার, চাটমোহর-মান্নাননগর সড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার, চাটমোহর থেকে ধানকুনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরপুর সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনাও। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে অতিকষ্টে হাসপাতালে আসছেন রোগীদের স্বজনরা।

খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া এইসব রাস্তা দিয়ে কেউ যাতায়াত করতে চান না। একেবারেই যানবাহন শূন্য হয়ে পড়েছে একসময়ের ব্যস্ততম সড়কগুলো। এইসব সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বেশিরভাগ বিকল হয়ে পড়ছে। ধূলো-বালির আস্তরণে ঢাকা পড়ছে সড়কের আশপাশের বাড়িগুলো। আধাঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে দুই ঘণ্টায়। সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এর আগে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে চাটমোহরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এরপরেও দৃষ্টি পড়েনি কর্তৃপক্ষের। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে পর্যায়ক্রমে সব রাস্তা সংস্কার হবে। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতিকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।

ক্ষোভের সুরে মহেলা গ্রামের রিপন রহমান, ওমর ফারুক, হরিপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম, ইমরান হোসেন কাজলসহ বেশ কয়েকজন জানান, রাস্তা খারাপের কারণে আমরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এরআগে অনেক নেতা বা কর্মকর্তারা রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাবনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ রায় বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে রাস্তা সংস্কারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এছাড়া বেশ কিছু রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে বলেও জানান তিনি।’

কেএসটি