ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কে গাড়ীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গাড়ীগুলি ধীর গতিতে চলাচল করছে। একটি গাড়ী আরেকটি গাড়ীর পিছনে লেগে লেগে চলছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছতে। এছাড়া পাটুরিয়া ঘাটে লঞ্চ পারাপরের যাত্রী নামিয়ে সেখান থেকে ফেরার পথেও গাড়ীগুলি রাস্তার একপাশ দখল করে রেখেছে। অর্থাৎ পাটুরিয়াগামী কোন গাড়ীই তার সামনের গাড়ীকে ওভারটেক করতে পারছে না।
দেশের দক্ষিপশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার লাখো মানুষের গন্তব্যে পৌঁছতে বিভিন্ন প্রকারের গাড়ীতে জড়ো হচ্ছেন দেশের অন্যতম নৌপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার পাটুরিয়া ঘাটে। সেখান থেকে লঞ্চে কিংবা ফেরিতে পার হচ্ছেন পদ্মা নদী। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদফায় বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছু সময়ের জন্য লঞ্চ চলাচাল বন্ধ থাকায় ক্ষানিকটা বিরম্বনায় পড়ে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী যাত্রীরা।
বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটে ছোট-বড় মিলে দুইশতাধিক গাড়ী ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। লঞ্চে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। তবে নৌপথে ২০টি ফেরী এবং ৩৪টি লঞ্চ সচল থাকায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান। এদিকে, যানজট রোধে সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে জেলা পুলিশের। কোনো ধরণের যানজট হবে না বলে জানান পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, যাত্রী হয়রানী বন্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। সব বিষয়ে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এসজেড