• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৮, ২০১৯, ০৮:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৮, ২০১৯, ০৮:৩৬ পিএম

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে...

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে...

মোবাইলে প্রেম করে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে বুধবার (৫ জুন) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। শনিবার (৮ জুন) সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা শুক্রবার (৭ জুন) বাদী হয়ে প্রেমিকসহ দুজনের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় মামলা করেছেন। বুধবার উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের নূরু বিশ্বাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ধর্ষককে আটক করতে পারেনি।

লোহাগড়া থানা এবং মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার রাজৈর এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে তিন সন্তানের জনক রাজীব বিশ্বাসের (২৮) সঙ্গে মোবাইলে এক বছর আগে খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার কার্তিককুল গ্রামের হালিম শেখের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এরই সূত্র ধরে ঈদের দিন (বুধবার) সকালে ওই কিশোরী রাজীবকে ফোন দেয়। তখন রাজিব তাকে দৌলতপুরের পার্শ্ববর্তী নড়াইলের কালিয়া থানার বড়দিয়ায় আসতে বলে। দুপুরের দিকে ওই মেয়ে ৬-৭ বছরের এক খালাতো ভাইকে নিয়ে বড়দিয়া বাজারে আসে রাজীবের সঙ্গে দেখা করে। সেখানে সারা দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যার পর পার্শ্ববর্তী দিঘলিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া পাম্পের পাশে রাজীবের এক চাচাশ্বশুরের পরিত্যক্ত বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়ির রান্নাঘরে সে ও তার এক বন্ধু (অজ্ঞাত) ওই স্কুলছাত্রীকে পালাক্রম ধর্ষণ করে। সকালে লক্ষ্মীপাশা বাজারে ওই মেয়েটির হাতে ১০০ টাকা দিয়ে তাদের যাত্রীবাহী বাসে তুলে দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা এবং বিকালে নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধর্ষিতা জবানবন্দি প্রদান করেছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকাররম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান ওসি।

এনআই