• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০১৯, ০৮:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৩, ২০১৯, ০৮:২৩ পিএম

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী বরখাস্ত

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী বরখাস্ত
বরখাস্তকৃত উচ্চমান সহকারী আব্দুর রব খান  ছবি : জাগরণ

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আব্দুর রব খানকে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইন ১৯৮৮-এর ৪৪(১) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক গত ১ জুন থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত (পত্র নং ৪৬.৬০.৩৬০০.০০১.৩৫.০১৪.১৬..৪৬৭) সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে জেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় অভিযোগ ওঠে উচ্চমান সহকারী আব্দুর রব খান প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দুর্গাপুর যাত্রীছাউনির স্টলটি আকবর আলীর সাথে নবায়নের চুক্তিনামা সম্পাদন করেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই নবায়ন করে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় যাচাই-বাছাইকালে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় যাত্রীছাউনি ইজারা নবায়নের ফাইল ও তথ্য সার্ভেয়ারকে না দিয়ে প্রায় ৬ মাস গোপন রাখার অভিযোগও ওঠে।

সভায় এসব ঘটনার তদন্ত করতে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল মুকিত ও সুলতান মাহমুদ।

উচ্চমান সহকারী আব্দুর রব খান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সব মিথ্যা। একটি প্রভাবশালী মহল আমাকে ফাঁসাতে উঠেপড়ে লেগেছে।’ তবে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় ৩ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বর্তমানে কী অবস্থায় আছে আমি বলতে পারছি না। কারণ গত ৩ জুন আমাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।’

ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গত ৩ জুন এখানে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব হিসেবে যোগদান করছি। আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার কোনো কাগজপত্র এখনো পাইনি। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’

এনআই