• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৯, ০৮:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৩, ২০১৯, ০৮:২৮ পিএম

কী দোষে কারাগারে শিশুটি?

কী দোষে কারাগারে  শিশুটি?
মা-বাবার সঙ্গে নিষ্পাপ শিশুটিকেও নেওয়া হচ্ছে হাজতে ছবি : জাগরণ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি চুরির মামলায় আটক হয়েছেন ফরিদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী নুর ভানু। আটক বাবা-মায়ের কোলে রয়েছে দুই বছর বয়সী শিশুকন্যা মারিয়া। বাবা-মায়ের অপরাধে নিষ্পাপ শিশুটিকেও থাকতে হচ্ছে থানাহাজতে। শিশু বয়সেই তাকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হলো।

জানা যায়, শুক্রবার (২১ জুন) রাতে সখীপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে শিশু মারিয়ার বাবা-মাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে শনিবার (২২ জুন) তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। তাদের সঙ্গে মারিয়াকেও আদালতে যেতে হয়। আদালত মারিয়ার বাবা-মায়ের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে শিশু মারিয়াসহ তিনজনকে আবার সখীপুর থানাহাজতে ফেরত পাঠানো হয়। থানায় আনা, আদালতে হাজির, অতঃপর রিমান্ডের জন্য থানায় অবস্থানকালে শিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গেই ছিল। কী দোষে কারাগারে শিশুটি?

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওয়াদুদ হোসেনের বাসায় কাজের ভুয়া হিসেবে কাজ করতেন নুর ভানু। ওই বাসার আলমারির তালা ভেঙে নুর ভানু স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করেন। পরে চুরি করা জিনিসপত্র তার স্বামীর মাধ্যমে বিক্রি করেন বলে এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ওই মামলায় আসামি করেন বাদী ওয়াদুদ হোসেন।

এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী দুজনই এজাহারভুক্ত আসামি। তবে শিশুসন্তান মারিয়া কিন্তু আসামি নয়। আমরা আদালতকে আসামিদের দুগ্ধপোষ্য দুই বছরের একটি শিশু রয়েছে বলে অবগত করেছি।’

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহাম্মেদ বলেন, চুরির মামলায় শনিবার উভয়কে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাদের সখীপুর থানায় পাঠানো হয়। শিশুদের বিষয়টি আদালতে পাঠানোর সময় থানা থেকে উল্লেখ করা থাকে।

এনআই