• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০১৯, ০৭:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১, ২০১৯, ০৮:২৮ পিএম

অপহরণের ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি কলেজছাত্রী

অপহরণের ৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি কলেজছাত্রী

পঞ্চগড়ে প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের ৭ দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 
 
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত ওই কলেজ ছাত্রী পঞ্চগড় শহরের একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। কলেজে যাতায়াতসহ বিভিন্ন সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার মো. লোফাজুলের ছেলে শাহাজাদ হোসেন ওই কলেজ ছাত্রীকে প্রেমসহ নানা রকমের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি ওই কলেজছাত্রী তার বাবা মতিয়ার রহমানকে জানালে তিনি শাহজাদ ও তার পরিবারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন। এর জের ধরে গত ২৫ জুন সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়কের বাশবাড়ি মাদ্রাসার সামনে অভিযুক্ত শাহাজাদ হোসেন ও তার কয়েকজন সহযোগী ওই ছাত্রীর পথরোধ করে। তারা ওই ছাত্রীকে অটোভ্যান থেকে নামিয়ে তার মুখ চেপে ধরে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। বর্তমানে ওই কলেজ ছাত্রীকে  অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শনিবার (২৯ জুন) সদর থানায় অপহৃত ছাত্রীর বাবার দায়েরকৃত মামলায় শাহাজাদ হোসেন (২০) ও তার বাবা লোফাজুল লোফা (৪৫), খালু মো. লাবলু (৩৫) ও তার (খালুর) বাবা নাজিম উদ্দীন (৫০) এবং বন্ধু মো. ইমনকে (২০) আসামি করা হয়েছে। তবে ঘটনার ৭ দিনে অতিবাহিত হলেও অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার বা অভিযুক্ত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

মামলার বাদি ও অপহৃত কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়নি বলেই আমার মেয়েকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে। অপহরণকারী আমার মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়েসহ অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। তিনি মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পঞ্চগড় সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. রুহুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়ের পর থেকেই ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মামলায় অভিযুক্তরা সবাই গা ঢাকা দেয়ায় এ বিষয়ে তাদের কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অভিযুক্ত শাহাজাদ হোসেনের বাবার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

একেএস
 

আরও পড়ুন