• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০১৯, ০২:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩, ২০১৯, ০২:১৬ পিএম

যমুনার ভাঙন : হুমকির মুখে আরিচা ঘাট

যমুনার ভাঙন : হুমকির মুখে আরিচা ঘাট

বর্ষার শুরুতে যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরিচা ঘাট ও আশপাশের এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৫০ ফুট এলাকা নদী ভেঙে টার্মিনালের দিকে এসেছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী শিবালয় বাজার, আরিচা নদী বন্দর, নবনির্মিত আবহাওয়া অফিস, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট ও তেওতা-জাফরগঞ্জ রাস্তাসহ আশপাশের গ্রামগুলো।
 
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আরিচা ট্রাক টার্মিনালের পশ্চিম পাশে নদীতে ঘূর্ণিপাকের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘূর্ণিপাকের কারণে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। এছাড়া আরিচা সরকারি ডাক বাংলো এবং আরিচা বন্দর ও বাজারের পশ্চিমে নদীর পাড় দিয়ে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বাজারের দোকান পাটগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। এমতবস্থায় ব্যবসায়ীরা চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।  

জানাগেছে, সব সময় নদীর নিচু এলাকা দিয়েই পানির প্রবাহ বইতে থাকে। তাই বর্ষার এ সময়ে পানির প্রবল স্রোতে নদীর পার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে ঐতিহ্যবাহী আরিচা নদী বন্দর, শিবালয় বন্দর বাজার, আবহাওয়া অফিস, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট, পিসিপোল নির্মাণ প্ল্যান্ট, তেওতা-জাফরগঞ্জ, আরিচা-দাসকান্দি বেড়িবাঁধ কাম সড়ক এবং বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি অফিস, শিবালয় থানা ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, সরকারি ডাকবাংলো ও তিনটি হাই স্কুল একটি কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং নদী সংলগ্ন আশপাশের গ্রামগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার বর্ষায় আরিচা এলাকায়  নদী ভাঙনের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরিচা ঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
 
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান জানু জানান, মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সাথে নিয়ে নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। 

ভাঙন কবলিত এলাকায় বাঁশ পুতে বেড়া দিয়ে ও বালুর বস্তা ফেলে প্রাথমিকভাবে নদী ভাঙন রোধে শিবালয় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আরিচার জন্য ২ লাখ, কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভাঙন ঠেকাতে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আগে নিহালপুর এলাকার বেড়িবাঁধের ভাঙন রোধে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৬ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। ভাঙন রোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।   

কেএসটি