• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৯, ০১:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৪, ২০১৯, ০১:২৪ পিএম

নেত্রকোনায় বন্যায় ৩শ গ্রামের ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি

নেত্রকোনায় বন্যায় ৩শ গ্রামের ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি
ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত- ছবি : জাগরণ

ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার দুর্গাপুর, বারহাট্টা, কলমাকান্দার ও আটপাড়া প্রায় ২০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় ৪ উপজেলায় অন্তত ৩শ গ্রামে প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রায় ২৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামীণ বেশ কয়েকটি সড়ক পানির নিচে থাকায় উপজেলা ও জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আটপাড়া, সদর ও বারহাট্টা উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এরইমধ্যে এই ৩টি উপজেলর ৩৫ থেকে ৪০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।

টানা ৫ দিনের মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার প্রধান নদী কংস বিপদসীমার ১৬৫ সে. মিটার ও উব্দাখালি ২৩ সে. মিটার পানি বিপদসীমার ওপরে রয়েছে। শুধু মাত্র পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। 

বন্যার পানিতে নেত্রকোনার বিভিন্ন রাস্তাঘাট প্লাবিত- ছবি : জাগরণ 

বন্যায় সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দার ৮ ইউনিয়ন, দুর্গাপুরের গাওকান্দিয়া, কুল্লাগড়া, বাকলজোড়া, কাকৈরগড়াসহ ৫ ইউনিয়ন, বারহাট্টার রায়পুর, বাউসী সিংধাসহ ৪টি, ইউনিয়ন, নেত্রকোণা সদর উপজেলার কালিয়ারা ঘাবরাগাতি ইউনিয়নের পাটলি, কুমারপুর, নাড়িয়াপাড়া, ঘাবরাগাতি, দুধকোড়া,ধামড়িহালা, চেওপুর ও মশুয়াসহ ২৫টি গ্রাম ও ঠাকুরাকোনা ইউনিয়ন, আটপাড়া উপজেলার শুনই, সুখারি ও লুনেশ্বর এই ৩টি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামসহ প্রায় ২০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রযেছে। ৪ শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারে পানি প্রবেশ করে ভেসে গেছে মাছ। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। 

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অনেক জায়গায় পানি কমতে শুরু করেছে। কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০ মেট্রিক টন জিআর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

কেএসটি