• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০১৯, ১২:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩০, ২০১৯, ১২:০৬ পিএম

তিন জেলায় ৩ মরদেহ উদ্ধার

তিন জেলায় ৩ মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) তিন জেলায় তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জামালপুর, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরা থেকে এ মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদনগুলো তুলে ধরা হলো-

জামালপুর 
জামালপুরে জিলা স্কুলের পুকুর থেকে অজ্ঞাত (২৫) যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জিলাস্কুলের ছাত্রাবাস সংলগ্ন পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

সকাল ৮টায় পুকুরে মৃতদেহ ভাসতে দেখে প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার মাসুদাকে খবর দেয় স্থানীয়রা। প্রধান শিক্ষক থানায় ফোন দিলে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত মৃতদেহের গালে ও ঠোটে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ছাত্রাবাস সুপার শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রধান শিক্ষকই আমাকে বিষয়টি জানান। পরে এসে দেখি মৃতদেহ পুকুরে ভাসছে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান বলেছেন, উদ্ধারকৃত মৃতদেহের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক ধারণা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর পানিতে ফেলে দিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও পুলিশি তদন্তের পর যুবকটি কিভাবে মারা গিয়েছে নিশ্চিত হওয়া যাবে। 

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) 
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় খাল থেকে সাহেব আলী (৮০) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সীতাইকুন্ড খাল থেকে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ। নিহত সাহেব আলী সীতাইকুন্ড গ্রামের মৃত কুটি মিয়ার ছেলে।

কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, স্থানীয়রা সীতাইকুন্ড ব্রিজের নিচের খালে ওই বৃদ্ধের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। সাহেব আলী ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় পাটক্ষেত থেকে আলামগীর হোসেন আলম (৩৫) নামে ঢাকা পরিবহনের এক সুপারভাইজারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে তার এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলমগীর হোসেন গোবিন্দকাটি গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে এবং সাতক্ষীরা-ঢাকা সংগ্রাম পরিবহনের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গোবিন্দকাটি গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে আলমগীর হোসেনের মরদেহটি উদ্ধার করা করেছে। তার গায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দিয়ে কোপানো ও গলায় ফাঁস দেওয়া ছিল। তবে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি। তবে পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযানে নেমেছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

কেএসটি

আরও পড়ুন