• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৮, ০৩:৪২ পিএম

রাজাপুরে বাস দুর্ঘটনায় ২০ পুলিশ সদস্য আহত

রাজাপুরে বাস দুর্ঘটনায় ২০ পুলিশ সদস্য আহত

 

ফায়ারিং শেষ করে ফেরার পথে ঝালকাঠির রাজাপুরে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পরে ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠী এলাকায় তাদের বহনকারী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে রাত ১২টার দিকে বরিশাল-শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিষ্ট্রার অনুযায়ী ভর্তিরত আহতরা হলেন- এএসআই হাফিজ (৩৫), কনস্টেবল আফরোজা (২০), রুমি (২২), ইতি (২২), তন্বি (২২), সুরমা (২৫), ছনিয়া রানী দে (২৯), শামীমা (২১), মরিয়ম (২২), তামান্না (২০), সুরাইয়া (২২), লিমা (২২), মো. সাইদুর রহমান (২৮) ও আনিস (৩৫)।

এদের মধ্যে কনস্টেবল লিমা ও সুরাইয়াসহ তিন জনের অবস্থা গুরুতর। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন এসআই আকতার, এএসআই নাছির, কনস্টেবল শাহনাজ, হিমু, ফরিদসহ অন্যরা। শেবাচিম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত পুলিশ কনস্টেবল শাহানাজ জানান, রাস্তায় একবার বাসটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। দ্বিতীয় দফায় সমস্যা দেখা দিলে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। তখন চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় বাসটিতে থাকা ৩৭ জনের মতো পুলিশ সদস্যের সবাই কম বেশি আহত হয়। এর মধ্যে ১৮/২০ জনের মতো বেশি আহত হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে বাসটির একাংশে ধোয়ার সৃষ্টি হলে আহতরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বাৎসরিক ফায়ারিং কার্যক্রম শেষে পুলিশ সদস্যরা সড়ক পথে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠী নামক স্থানে পৌছালে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসে থাকা নারী পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঊরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, খুলনা থেকে বাৎসরিক ফায়ারিং কার্যক্রম শেষ করে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যারা বেশি আহত তাদের শেবাচিম হাসপাতালে এবং যারা অল্প আহত তাদের বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার পর পরই পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে আহতদের বরিশালে নিয়ে আসেন এবং চিকিৎসার বিষয়ে তদারকি করেন।

এসসি/বিএস