• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০২:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০২:০৩ পিএম

ময়মনসিংহে ১ বছরে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ‍নিহত ১৬

ময়মনসিংহে ১ বছরে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ‍নিহত ১৬

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গত এক বছরে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, হত্যা মামালার আসামিসহ ১৬ জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। নিহতরা জেলার বিভিন্নস্থানে মাদক ব্যবসা, হত্যা, সন্ত্রাসী কাজ, ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল। ডিবির ওসি শাহ কামাল হোসেন যোগদানের পরপরই পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন (বিপিএম বার) এর নির্দেশে জেলাব্যাপী মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিলে শুরু হয় অভিযান।

২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ওসি শাহ কামাল হোসেন আকন্দ অভিযানে নামেন। প্রথমেই কোতোয়ালী মডেল থানার হত্যা ও মাদক মামলার আসামি মো. শরীফ ১৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। নিহত শরীফ কৃষ্টপুর নিবাসী নাজিম উদ্দিন ওরফে হাতকাটা নাজিমের ছেলে। এরপর দিনই অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর হত্যা ও মাদক মামলার আসামি পায়েল ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায়। নিহত পায়েল পুরোহিতপাড়ার জালালের ছেলে। 

৩ নভেম্বর মুক্তাগাছা থানার হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামি সন্ত্রাসী মো. আবদুল্লাহেল কাফি মুক্তাগাছার কাঁঠালিয়া এলাকার জলই ব্রিজের সামনে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। একই দিন কোতোয়ালী মডেল থানার হত্যা ও মাদক মামলার আসামি আলমগীর শম্ভুগঞ্জ এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। তার পিতার নাম ইব্রাহীম। কালীবাড়ী পুরাতন গোদারাঘাট এলাকায় তার বাসা। ১৪ নভেম্বর হত্যা ও মাদক মামলার আসামি সুমন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। তার বিরুদ্ধে কোতেয়ালী মডেল থানায় মাদক ও হত্যা মামলা ছিল। সুমনের বাসা সদরের চর কালিবাড়ী এলাকায়। 

২২ নভেম্বর ’১৮ ইং ভালুকা থানা এলাকার নয়নপুর এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় ভালুকা থানার ৫ মামলার আসামি মোবারক হোসেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা অভিযোগ ছিল। নিহত মোবারকের পিতার নাম মৃত মিয়ার উদ্দিন। ভালুকার নয়নপুরে তার বাড়ি। ২২ ফেব্রুয়ারি ’১৯ ইং কোতোয়ালী মডেল থানার হত্যা ও মাদক মামলার আসামি আ. রশিদ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। শহরের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার হোমিও কলেজের সামনে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সে মারা যায়। নিহত আ. রশিদের পিতার নাম মো. রফিক। শহরের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার বাড়ি। 

এদিকে, ৩ মার্চ ’১৯ ইং কোতোয়ালী মডেল থানার হত্যা ও মাদক মামলার আসামি সন্ত্রাসী মো. লালু মিয়া বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। লালু মিয়ার পিতার নাম আক্তার হোসেন। কৃষ্টপুর বাগানবাড়ী এলাকায় তার বাসা। ৪ মে ’১৯ ইং নান্দাইল মডেল থানার হত্যা, মাদক ও অস্ত্র মামলার আসামি মো. হযরত আলী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায়। নান্দাইলের সাভার গ্রামে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সে মারা যায়। নান্দাইল উপজেলার সাভার গ্রামের মৃত আ. রাজ্জাকের ছেলে। গত ৫ আগস্ট কোতোয়ালী মডেল থানার মাদক ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি শহরের জনি মিয়া ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায়। পাটগুদাম এলাকার আটানীপাড়ের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। 

২২ আগস্ট গফরগাঁয়ের পাগলা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হত্যা, মাদক ও অস্ত্র মামলার আসামি এখলাছ উদ্দিন পাগলা থানাধীন চাকুয়া এলাকায় ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। তার পিতার নাম নুরুল ইসলাম। ২ সেপ্টেম্বর ’১৯ ইং কোতোয়ালী মডেল থানার মাদক, হত্যা মামলার আসামি খলিল মুক্তাগাছা বাইপাস এলাকায় ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। সে জামালপুর জেলা সদরের দাপুনিয়া এলাকার মৃত আ. জলিলের ছেলে। সে থাকতো ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বাকতার বাকচালা গ্রামের বাসিন্দা। 

গত ৮ সেপ্টেম্বর ’১৯ ইং কোতোয়ালী মডেল থানার হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামি সজল মিয়া ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। দিঘারকান্দা বাইপাস মোড়ে এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ঘটনা ঘটে। নিহত সজলের পিতার নাম আরজু মিয়া। তার বাসা শহরের কৃষ্টপুর এলাকায়। 

ভালুকা এলাকার হত্যা ও মাদক মামলার আসামি রুবেলকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর  ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। জমিরদিয়া টু হবিরবাড়ি পাকা রাস্তায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’র এ ঘটনা ঘটে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর তারাকান্দা এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী, হত্যা মামলা ও মাদক মামলার আসামি আব্দুল করিম ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। তার পিতার নাম মৃত আব্বাস আলী। ঐ দিন তারাকান্দায় মোকামিয়াকান্দা এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সে মারা যায়। 

গত ১ বছরে ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, হত্যাকারী, সন্ত্রাসীরা নিহত হলেও মাদক ব্যবসা এখন আর প্রকাশ্যে হয় না। 

ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, জেলা পুলিশ সুপার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও হত্যাকারীরা এখন আতঙ্কে রয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

কেএসটি

আরও পড়ুন