বরিশালে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে খানজাহান আলী সেতুর (রূপসা সেতু) উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে হত্যার দায়ে অন্তর হোসেন ওরফে রমজানকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত। খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মসিউর রহমান চৌধুরী বুধবার বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রায় ঘোষণাকালে জেলা ও দায়রা জজ মসিউর রহমান বলেন, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির অর্থদণ্ড কেন প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু যেহেতু আইনে রয়েছে তাই তিনি মৃত্যুদণ্ড এবং অর্থদণ্ড প্রদান করেন। রায় পাঠকালে বিচারক বলেন, যে ব্যক্তি নিজ স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে হত্যা করতে পারে, তাকে মৃত্যুদণ্ডই পেতে হবে। রায় ঘোষণার পর বিচারক আসামির কাছে জানতে চান তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন কি না? আসামি আপিল করার জন্য হ্যাঁ-সূচক জবাব দিলে বিচারক রায়ের কপি পাওয়ার পর সাত কার্যদিবসের আপিল করার জন্য সময় বেঁধে দেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. এনামুল হক জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জুন রাতে স্ত্রীকে বরিশাল যাওয়ার কথা বলে রূপসা নদীর ওপর খানজাহান আলী ব্রিজে নিয়ে আসে। রাত নয়টার দিকে স্ত্রী ও পুত্রকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা এ সময় অন্তর হোসেন রমজানকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। পরে পুলিশ নদী হতে নিহত স্ত্রী তৈয়েবা খাতুন এবং শিশুপুত্র আব্দুর রহিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূ তৈয়েবা খাতুনের মা রশিদা বেগম বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য প্রদান শেষে এই রায় প্রদান করা হয়।

এনআই