• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮, ০৭:২৭ পিএম

সিলেটে ৬৪ ভাগ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

সিলেটে ৬৪ ভাগ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

 

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের ২ হাজার ৮০৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬২১টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আনুপাতিক হিসাবে মোট কেন্দ্রের ৬৪ ভাগই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। যেখানে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৮ ভাগ। ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ২১২টি কেন্দ্রের সবগুলোই মৌলভীবাজার জেলায়। সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হবিগঞ্জ জেলায়। সেখানে ৬৩৩টি ভোটকেন্দ্রের ৪২১টি-ই ঝুঁকিপূর্ণ। বিভাগের বাকি ১ হাজার ১৮৪টি ভোটকেন্দ্রকে সাধারণ ভোটকেন্দ্র বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে ৬৬ লাখ ২২ হাজার ৫৬৫ জন ভোটার রয়েছেন। তারা ২৮০৫টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় এসব কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ২১টি কেন্দ্র সাধারণ, ১ হাজার ৫৭২টি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও মৌলভীবাজার জেলার ২১২টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ হিসাবে মোট ভোটকেন্দ্রের ৫৬ দশমিক শূন্য ৪ ভাগ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ৭ দশমিক ৫৬ ভাগ ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ কেন্দ্র। বাকি ৩৬ দশমিক ৪০ ভাগ সাধারণ ভোটকেন্দ্র।

সিলেট : সিলেট জেলার ৬টি আসনে এবার ৬৯৯টি ভোটকেন্দ্রে রয়েছে। এর মধ্যে ৩২৩টি-ই ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৩৭৬টিকে সাধারণ ভোটকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিলেটর ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ২২ লাখ ৫২ হাজার ২৯৪ জন।

সুনামগঞ্জ : জেলার ৬৬৮ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১৬টি ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ২৫২টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ জেলার ৫টি আসনের মোট ভোটার ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭ জন।  

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এখানে  ৬৩৩টি ভোটকেন্দ্রের ৪২১টি-ই ঝুঁকিপূর্ণ। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্র ২১২টি। জেলার ৪টি আসনে মোট ভোটার ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৬৪ জন।

মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার জেলার ৫১২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৫৯টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও বাকি ২৫৩টি ভোটকেন্দ্রকে সাধারণ ভোটকেন্দ্র বলে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে ভোটার রয়েছেন ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৭১ জন। তবে কেন্দ্রগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ বলতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। তাদের ভাষায় এসব কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান।

সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, মফস্বলের সাধারণ সকল কেন্দ্রে ১৪ জন, পৌর এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৫, নগরীর সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে পুলিশ থাকবে। সকল গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১ জন করে ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২ জন করে বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হবে। এছাড়াও নির্বাচনি এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সমন্বয়ে গঠিত রিজার্ভ ফোর্স, কেন্দ্রভিত্তিক মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তায় থাকবে।

নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে, প্রার্থীর পক্ষে কোনো গোষ্ঠী অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাতে পারে, ভোট কেন্দ্রের পাশে প্রার্থী বা তার নিকটাত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে এমন সব কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থান, এলাকার রাজনৈতিক অবস্থা ও ভোট কেন্দ্রের স্থাপনাকেও এ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বেশি থাকবে।


এসসি/সাইসে