• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২০, ০৫:৫৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৬, ২০২০, ১১:৫৯ পিএম

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় আততায়ীদের হাতে গ্রাম সর্দার খুন

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় আততায়ীদের হাতে গ্রাম সর্দার খুন
প্রতীকী ছবি

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানাধীন বাড্ডা গ্রামের গ্রাম সর্দার মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে আততায়ীরা।

শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ্যার দিকে এই নির্মাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এ ঘটনার পর অপরিচিত এক ব্যক্তি মুঠোফোনে জাহীঙ্গার হোসেনের পরিচিতজনদের এ ব্যাপারে অবগত করেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

নিহতের পারিবারিক সূত্রের তথ্য মতে, নিহত জাহাঙ্গীর মিয়া ছিলেন বাড্ডা গ্রামের গ্রাম সর্দার ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বিচারক। গ্রামের মানুষের কাছে তিনি জাহাঙ্গীর নেতা নামেই পরিচিত। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে বাড়ি থেকে বের হন জাহাঙ্গীর মিয়া। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন দিকে তার খোঁজ করতে শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টা নাগাদ একটি অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে জনৈক ব্যক্তি নিহতের পরিবারকে জানান যে বাড়ি থেকে খানিক দূরের একটি ফাঁকা জমিতে (চক) জাহাঙ্গীর মিয়াের লাশ পড়ে আছে।
পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য মতে, মুঠোফোনে যোগাযোগকারী ঐ ব্যক্তি বলেন, 'জাহাঙ্গীররে মাইরা চকে ফালায় রাখছে। লাশ দেখার হইলে দেইখা যাও আর নেওয়ার হইলে নিয়া যাও।'

সংবাদ পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ও গ্রামের মানুষ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের সেই জমিতে উপস্থিত হলে সেখানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত জাহাঙ্গীর মিয়াকে পড়ে থাকতে দেখে থানায় অবগত করেন। খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ প্রসঙ্গে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজীত রায় দৈনিক জাগরণকে জানান, প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে হাঁটতে বের হতেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তার স্ত্রী তার জন্য চা বানাচ্ছিলেন কিন্তু চা না খেয়েই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এর প্রায় ঘণ্টা দুই পরে খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর মিয়াের বাড়ি থেকে আনুমানিক এক-দেড় কিলোমিটার দূরের একটি আবাদি জমির মাঝ থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষনিক তাকে নবীনগর উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
রনজীত রায় বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে খুব নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। পুরো শরীর আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। লাশের সুরাতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুসারে জানা যায়, উপোর্যপুরি দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও ছুরিকাঘাতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করেন, স্থানীয় প্রতিপক্ষ দলের লোকেরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এখনো নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের না করা হলেও দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান নিহতের আত্মীয়রা।

এসকে