বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পালানোর সময় ২০ লাখ টাকার একটি শাড়ির চালান আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বন্দরের ১৩ নম্বর শেড থেকে এই শাড়ির চালানটি পাচারের সময় আটক করে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা।

কাস্টমস সূত্র জানায়, আমাদানিকারক প্রতিষ্ঠান যশোরের ভাবনা এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে ৬০২ প্যাকেজ রকমারি পণ্য আমদানি করে। চালানটি ছাড় করার দায়িত্বে ছিলেন পুটখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার হাদিউজ্জামানের মালিকানাধীন সিএন্ডএফ এজেন্ট রিমু এন্টারপ্রাইজ। পণ্যচালানটি কাস্টমস ও বন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বন্দর থেকে খালাস নেওয়ার সময় কৌশলে একই শেডে লুকিয়ে রাখা অতিরিক্ত ১০ বেল উন্নত মানের শাড়ি ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তারা। এর আগেও রিমু এন্টারপ্রাইজের মালিক মাস্টার হাদিউজ্জামান সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার মালিকানাধীন সিএন্ডএফ এজেন্ট রিমু এন্টারপ্রাইজের বৈধ পণ্যের সঙ্গে অবৈধ পণ্য আটক হওয়ার একাধিক রেকর্ড আছে কাস্টমসে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আজিজুর রহমান  বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি স্থানীয় একটি চক্র শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এক ট্রাক মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় কাস্টম কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় ট্রাকটি আটকের। ট্রাকটি আটক করার পরে ওই মালামাল এর মালিক মালামালের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন। আটককৃত মালামাল কাস্টমস নিলাম শাখায় রাখা হয়েছে। শুল্ক ফাঁকির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

গোপন সংবাদে জানতে পারি রিমু এন্টারপ্রাইজ নামে এক সিএন্ডএফ এজেন্ট রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি শাড়ির চালান খালাস নিচ্ছে।

এমন সংবাদে রিমু এন্টারপ্রাইজের শাড়ির চালান আটক করা হয়। যার কোনো কাগজপত্র ছিল না। তবে ২০ লাখ টাকা ফাঁকির অভিযোগে তার লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

জাগরণ/এমইউ