• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০১৯, ০৮:১৩ পিএম

ব্রিটিশ আমলের কাঠের সেতু এখন বাঁশের সাঁকো

ব্রিটিশ আমলের কাঠের সেতু এখন বাঁশের সাঁকো

 

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজারের আখিলা নদীর উপর কাঠের একটি সেতু তৈরি করে ব্রিটিশরা। সেই কাঠের সেতু এখন বাঁশের সাঁকোতে এসে ঠেকেছে।

অথচ এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করে ফুলবাড়ীয়া সদর ইউনিয়ন, বাকতা ও রাধাকানাই ইউনিয়নের শিক্ষার্থীসহ শতশত মানুষ। বছর দুই আগে বাঁশের সাঁকোর স্থলে পাকা সেতু নির্মাণের
জন্য স্থানীয় এলজিইডি অফিস মাটি পরিক্ষার কাজ শেষ করার পর সেতু নির্মাণের নকশা তৈরি করা হয়। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র উপজেলার চাঁদপুর বাজারে এক সময় পালতোলা নৌকা ভিড়তো। পরে নদীর নাব্য সংকট দেখা দেয়ায় এখন আর আগের মত জৌলুস নেই এ বাজারের। আসে না কোনো পাল তোলা নৌকা।

তবে  নদীর তীরে গড়ে ওঠা বাজারের পাশেই রয়েছে আখিলা নদী। এ নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। যা এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে। অথচ এ সাঁকোর ওপর দিয়ে সাধারণ মানুষসহ শতশত শিক্ষার্থী যাতায়াত করে নদীর এপার থেকে ওপারে। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রতি বছর সংস্কার করার পর যাতায়াত উপযোগী করা হয় বাঁশের সাঁকোটি।

এদিকে ২০১৬ সালে স্থানীয় এলজিইডি অফিস আইআরডিপি প্রকল্প থেকে বাঁশের সাঁকোর বদলে পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। এই সেতু নির্মাণের জন্য মাটি পরিক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। নকশার কাজও প্রায় শেষের পথে। কিন্তু প্রকল্প থেকে অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ থেমে গেছে।

চাঁদপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন সরকার জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ শতশত মানুষ যাতায়াত করে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি কাঠের সাঁকো এখন বাঁশের সাঁকোতে পরিনত হয়েছে। এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেতু নির্মাণ না হওয়ার তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রকৌশলী সালমান রহমান রাসেল জানান, সেতু নির্মাণের জন্য এর মধ্যে মাটি পরিক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। নকশার কাজও প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু আইআরডিপি প্রকল্প থেকে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কাজটি আর এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এসসি/এসজেড