• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২১, ০১:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৩, ২০২১, ০১:৪৩ পিএম

বিএসএফের বাধায় বন্ধ ২০০ বছরের পুরনো মসজিদের সংস্কার কাজ

বিএসএফের বাধায় বন্ধ ২০০ বছরের পুরনো মসজিদের সংস্কার কাজ

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার মুখে বন্ধ হয়ে গেছে দুই বাংলার এক মসজিদ নামে পরিচিত কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানি সীমান্তে অবস্থিত দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারি জামে মসজিদের সংস্কার কাজ।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ ও ভারত সীমানার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৭৮-এর সাব পিলার ৯ এসের পাশে এই মসজিদের অবস্থান। এর উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার ঝাকুয়াটারী গ্রাম, দক্ষিণে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানি গ্রাম। দুই সীমান্তের শূন্যরেখায় বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নির্মিত মসজিদের নাম ‘ঝাকুয়াটারী সীমান্ত জামে মসজিদ’। 

১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারত-বাংলাদেশ দুই বাংলার দক্ষিণ বাঁশজানি- ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ। উপমহাদেশ বিভক্ত হলেও বিভক্ত হয়নি মসজিদটি। দুই দেশের মুসল্লিদের সেতু বন্ধন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ মসজিদটি। 

২০০ বছরের পুরনো মসজিদটির পাকা দালান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী গত এপ্রিল মাসে সেখানে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

সরকারি-বেসরকারি আর্থিক অনুদান ও দু-দেশের মুসুল্লিদের সহযোগিতায় ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের মসজিদটির নতুন ভবনের বেশ কিছু কাজ দৃশ্যমান হয়। কিন্তু গত (৫ মে) সীমান্তে নো ম্যানস ল্যান্ডের ১৫০ গজের ভিতরে পাকা স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে বিধি নিষেধ থাকার কথা বলে মসজিদ নির্মাণে বাধা দেয় বিএসএফ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় দুই শতাব্দী ধরে দুই বাংলার মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধনের অনন্য প্রতীক এই মসজিদটির কাজ। 

মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি কফিলুর রহমান জানান, দুই দেশের মানুষের একটাই দাবি, আইনি জটিলতা কাটিয়ে ঐতিহাসিক এই মসজিদটির একটি স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা হোক। 

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এরফান আলি বলেন, “গত ২১ মে (শুক্রবার) কুড়িগ্রাম-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আছলাম হোসেন মসজিদটি পরিদর্শনে আসেন। আমরা এমপি মহোদয়সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মসজিদ নির্মাণে বিএসএফের বাধার বিষয়টি জানিয়েছি। তারা দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।”

কুড়িগ্রাম-২২ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, “ওই স্থানটিতে ঐতিহ্যবাহী পুরাতন একটি মসজিদ রয়েছে। দীর্ঘ দিন থেকে দুদেশের মুসলমানরা একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করে আসছে। মসজিদটির ভবন নির্মাণে বিএসএফ আপত্তি জানিয়েছে। আমরা খুব দ্রুত এর প্রতিউত্তর পাঠাবো ঐতিহাসিক এই পুরনো মসজিদটি নির্মাণে যেন তারা বাধা না দেয়।”