• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০১৯, ০১:২৯ পিএম

ফুলবাড়ীয়ায় ৩ বাঁশের সাঁকোই ৫ গ্রামের যোগাযোগের মাধ্যম

ফুলবাড়ীয়ায় ৩ বাঁশের সাঁকোই ৫ গ্রামের যোগাযোগের মাধ্যম
ফুলবাড়ীয়ায় ৫ গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চিতলিয়াঘাটের ৩ বাঁশের সাঁকো


 

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভবানীপুর ও এনায়েতপুর ইউনিয়নের ৫ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো চিতলিয়াঘাটের ৩ বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকো দিয়ে কত যুগ ধরে চলাচল করছে তা এযুগের মানুষ যারা তারাও  বলতে পারছে না।

তবে ৮৫ বছর বয়স্ক এক মুরুব্বীরা জানান, তাদের পিতা চলাচল করেছেন এ সাঁকো দিয়ে। কবে পাকা হবে এ সাঁকো তা সবারই অজানা।   

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভবানীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাজুয়া নদীর চিতলিয়া ঘাটের ৩ বাঁশের সাঁকোটি পাকা হোক তা দুই ইউনিয়নের জনগণেরই  দাবি।

উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন আর এনায়েতপুর ইউনিয়নকে বিভক্ত করেছে বাজুয়া নদী। নদীর এ পাড়ে ভবানীপুর ফাজিল মাদরাসা, ওপাড়ে চিতলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উভয় পাড়ে ৫/৬ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি হাটবাজার রয়েছে। বর্ষাকালে ৩ বাঁশের সাঁকো তলিয়ে গেলে আবালবৃদ্ধবনিতার সাথে রাখতে হয় একটি ব্যাগ আর বাড়তি কাপড়। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ সারা বছর। এ সাঁকো দিয়ে পাড় হতে গিয়ে কত মানুষ যে আহত হয়েছে তার কোন হিসাব নাই।

সাঁকোর পাড়ের মানুষ আব্দুল লতিফ বলেন, নির্বাচন আসলে নেতাদের কথা মনে হয় এক মাসের মধ্যে পাকা হয়ে যাবে। নির্বাচন শেষ হলে আর পাকা হয় না। কবে পাকা হবে সেই আশা বাদ দিয়ে নৌকা কিনেছি।

আব্দুল রহিম মাষ্টার জানান, সাঁকোটির জন্য এ এলাকার ব্যাপক ভাবে উৎপাদিত সবজির দাম পাচ্ছে না দুই পাড়ের সবজি চাষিরা। দূরে নিয়ে বিক্রি করতে হয় তাই খরচ বেশি পড়ে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের শহীদ মেম্বার জানান, বছরে দুই বার সাঁকোটি মেরামত করতে হয়। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে বলছি এমপি স্যারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে।

চিতলিয়া ঘাটে একটি পাকা ব্রিজের জন্য দুই ইউনিয়নের এলাকাবাসীরা দাবি জানিয়েছেন।
     
টিএফ