• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০১৯, ০৯:০৫ পিএম

ববি’র আলোচিত রেজিস্ট্রার মনিরুলের যোগদান নেয়নি ভিসি

ববি’র আলোচিত রেজিস্ট্রার মনিরুলের যোগদান নেয়নি ভিসি

 

জামায়াতের রাজনীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও নারী কেলেঙ্কারিসহ একাধিক অভিযোগে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে। এরপর থেকেই তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও দেড় মাস পরে উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ দিতে আসনে তিনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য মনিরুল ইসলামের যোগদানপত্র গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার কর্ণকাঠিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তার যোগদানকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেনার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম একজন বিতর্কিত লোক। তিনি নন এমপিও ক্যামব্রিয়ান কলেজে ৩ বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা দেখিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে  রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন।

নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে ২বছর ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব পালনের আগে রেজিস্ট্রার হওয়া যাবে না। কিন্তু সাবেক এক মন্ত্রী মনিরুল ইসলামের স্ত্রীর পরিচিত হওয়ার সুবাধে তার প্রভাব খাটিয়ে রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি পান তিনি।

সূত্রে জানা যায়, রেজিস্ট্রার হওয়ার পর থেকেই নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কর্মকান্ডে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

তাছাড়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনৈতিক প্রস্তাবের গোপন কথোপকথন ও ভিডিও ফাঁস হয়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতাসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরই মনিরুল ইসলাম ছুটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

এ প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাছাড়া যে ভিডিওটি ফাঁস হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ সাজানো একটি ভিডিও। যে ছাত্রীকে নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল সেই ছাত্রী নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করেছিল।

তিনি বলেন, ববি’র সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। সেই আদেশের কপি নিয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার আবেদন গ্রহন করেনি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আমাকে জানানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এসএম ইমামুল হক বলেন, মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি পদত্যাগও করেননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। বুধবার তিনি হাইকোর্টের একটি কাগজ নিয়ে এসেছেন যোগদানের জন্য। বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) ওই আদেশ ভ্যাকেট করার জন্য আমরা হাইকোর্টে যাব।

এএস/