• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম

নবাবগঞ্জে বাধার মুখে ড্রেজার ফেলে পালিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

নবাবগঞ্জে বাধার মুখে ড্রেজার ফেলে পালিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা
- প্রতীকী ছবি

 

ঢাকার নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউপির পাড়াগ্রাম বাজার সংলগ্ন কালীগঙ্গা নদীতে শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে ড্রেজার ও পাইপ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কৈলাইল ইউপি সদস্য মো. সাইদুল ইসলাম ও কথিত সৈনিকলীগ নেতা রমজান আলীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে মো. আলী হোসেন নামের এক ব্যক্তি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। শনিবার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় এ ডায়েরি করা হয়।
 
মুঠোফোনে মো. আলী হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কালীগঙ্গা নদীতে বালু উত্তোলন করা হলে, পাড়াগ্রাম হাটবাজার, মসজিদ, হাইস্কুলসহ সমগ্র গ্রামটি নদী গর্ভে চলে যাবে। ফলে অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে। পাড়াগ্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। একটি কুচক্রি মহল নদীতে ড্রেজার বসিয়ে  বালু উত্তোলন করে গ্রামটিকে নদীগর্ভে বিলীন করে দিতে তৎপর রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। 

ঘটনায় অভিযুক্ত কৈলাইল ইউপি সদস্য মো. সাইদুল ইসলামকে তার মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। 
সৈনিকলীগ নেতা রমজান আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি জড়িত নই। প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে কৈলাইল ইউনিয়নেফসলি জমির মাটি বিক্রিসহ নদী থেকে বালু উত্তোলনে তৎপর চক্রটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত। প্রভাবশালী চিহ্নিত এই সিন্ডিকেট চক্রটি যখন যার হাতে ক্ষমতা থাকে সেই দলের নেতাকর্মী পরিচয়ে নদী থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে প্রতিবছর লক্ষকোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 

নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক  মো. কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের  বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএস/