• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৬:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৬:০২ পিএম

বউকে ফেরত দিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

বউকে ফেরত দিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বউ ভাগিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় সালিশ হয়েছে। সালিশে বউকে ফেরত দিতে ছেলের পরিবারকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ঐ নারীকে উপস্থিত করতে না পারলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে ছেলের বাবাকে।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এক সালিশে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগরকান্দা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জিয়া।

তিনি বলেন, আনিস মাতুব্বরের বিরুদ্ধে এর আগেও এরকম দুটি মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে আসার ঘটনা আছে। সে ঘটনায় একটিতে মামলা ও আরেকটি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়। সবশেষ শাহিন ফকিরের স্ত্রীকে জীবিত অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিতে তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যর্থ হলের ছেলের বাবাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। পরে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছ। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার ও শনিবার (২৮ ও ২৯ জানুয়ারি) এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় শতাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নে ফকিরের ছেলে শাহিন ফকিরের স্ত্রীকে প্রায় এক মাস আগে ভাগিয়ে নিয়ে যান একই গ্রামের মুন্নু মাতুব্বরের ছেলে আনিস মাতুব্বর। 
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কাইচাইল ইউনিয়নের পোড়াদিয়া বাজার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হন। 
ঐ নারীর স্বামী শাহিন ফকির বলেন, ‘আনিস মাতুব্বর আমার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী তিন ভরি গহনা এবং নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আনিস এর আগেও ভাঙ্গা থেকে এক নারীকে একইভাবে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। পরে সব টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করে ওই নারীকে তাড়িয়ে দেয়। ঐ ঘটনার সমাধান হয়েছিল।

ইউএম