• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২, ০১:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২, ০১:৫৮ পিএম

বদলগাছীতে ফসলী জমি রক্ষায় মামলা

বদলগাছীতে ফসলী জমি রক্ষায় মামলা

বদলগাছী প্রতিনিধি
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলাধীন ছোট যমুনা নদীর বালুমহালের বালু উত্তোলনের নামে ফসলী জমির মাটি কাটার অভিযোগে নওগাঁর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও জেলা এ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশন, নওগাঁর বিজ্ঞ আইনজীবী শাহানূর ইসলাম সৈকত জনস্বার্থে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞ আমলী আদালত, নওগাঁয় এ সংক্রান্তে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞ বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালত অভিযোগটি জনস্বার্থে আমলে গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রাখেন। 

ঘটনায় জানা যায়, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদী বালু শুন্য হলেও বন্ধ হচ্ছে না সরকারিভাবে লিজ প্রক্রিয়া। নদীতে বালু না থাকায় নদী লিজের নামে বালু ব্যবসায়ীরা ফসলসহ কেটে নিয়ে যাচ্ছে নদীর দু'পারের তিন ফসলি জমির মাটি। 

নদীপাড়ের কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, বালুমহাল লিজ কাকে বলে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ। 

সরজমিনে দেখা যায়, কাষ্টডোব খাগড়া মৌজায় বালুমহাল ইজারাদার গাছপালা উপড়ে ফেলে আলুক্ষেত, পটলক্ষেতসহ ৩ ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গভীর করা হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ ফুট। তাতে আশপাশের ফসলি জমি ভেঙে পড়ছে। 

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও আইনজীবী শাহানূর ইসলাম সৈকত বলেন, দৈনিক জাগরণসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি এলাকার ফসলী জমির মাটি অবৈধভাবে কেটে নেয়া হচ্ছে। তাই জনস্বার্থে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী মামলাটি দায়ের করি।

তিনি বলেন, সেখানে বলা হয়েছে বিজ্ঞ আদালত যদি কোনও মাধ্যমে জানতে পারেন কোথাও আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তাহলে বিজ্ঞ আদালত তার উপর ভিত্তি করে অভিযোগটি আমলে নিতে পারেন এবং আদেশ দিতে পারেন। তাই পরবর্তী আদেশের জন্য বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। 

অপরদিকে নালুকাবাড়ী গুচ্ছগ্রামের পাশেই বালু কাটার মহোৎসব চলছে। ভেকু মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ২০/৩০টি ট্রাক্টর একই ভাবে মাটি বহন করছে। সেখানেও কাটা হচ্ছে ফসলি জমি। 

নালুকা বাড়ি গুচ্ছগ্রামের সভাপতি বক্কর বলেন, আমরা বিভিন্ন কর্মকর্তা ব্যক্তির কাছে ঘুরছি কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এভাবে মাটি কাটলে গুচ্ছগ্রাম রক্ষা হবে না। বর্ষা মৌসুমে নদী ভরে গেলে পানির স্রোত সরাসরি গুচ্ছগ্রামে এসে আঘাত হানবে তখন এখানকার আবাস নিঃচিহ্ন হয়ে পড়বে।

জাগরণ/আরকে