• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২২, ১২:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২১, ২০২২, ১২:২৩ পিএম

রাণীনগরে প্রতিবন্ধী নারীকে হত্যার আসামি গ্রেফতার

রাণীনগরে প্রতিবন্ধী নারীকে হত্যার আসামি গ্রেফতার

নওগাঁর রাণীনগরে বিয়ের প্রলোভনে ও ধারের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী এক নারীকে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও মরদেহ উদ্ধার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। একই সাথে হত্যাকান্ডের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে। 

রবিবার (২০ মার্চ) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া। 

গ্রেফতার ওই ব্যক্তির নাম মাহাবুবুল আলম বিস্কুট (৪৫)। তিনি রাণীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আয়নুল হকের ছেলে। নিহত ওই প্রতিবন্ধী নারীর নাম লাভলী খাতুন (৩১)। সে রাণীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের মেয়ে। 

এর আগে শনিবার বিকেলে নওগাঁর রাণীনগর থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে জিরাবো পশ্চিম পাড়া বায়তুন জামে মসজিদ এলাকা থেকে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় ওই প্রতিবন্ধী নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাণীনগর উপজেলার বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী লাভলী খাতুন বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। চারদিনেও লাভলী খাতুনের খোঁজ না পেয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তার বড় ভাই। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে উপজেলার ভবাণীপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তিতে একই গ্রামের হত্যাকান্ডের মূলহোতা মাহবুবুল আলমকে পুলিশ নাটোর জেলার হালতি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যে গত শনিবার বিকেলে ঢাকার আশুলিয়া থেকে লাভলী খাতুনের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুবুল আলম জানায় লাভলী খাতুনের সাথে তার দীর্ঘদিনের পরকিয়া প্রেম ছিল। এছাড়া তিনি লাভলী খাতুনের কাছে বেশকিছু টাকা ধার করেছিল। এক পর্যায়ে সে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঢাকায় চলে যায়। এরপর মাহাবুব আলম সেখান থেকেই লাভলী খাতুনের সাথে যোগাযোগ করত। কিছুদিন পর লাভলী খাতুন তার পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য এবং তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাভলীকে অপহরণ করে হত্যার পরিকল্পনা করে মাহাবুব আলম। পরিকল্পনা মোতাবেক ১৫ ফেব্রুয়ারির কৌশলে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে তাকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায় মাহাবুব। সেখানে যাওয়ার পর আসামি মাহবুবুল আলমসহ কয়েকজন মিলে লাভলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ বস্তাবন্দি করে মাটির নিচে গর্তে পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় মাহবুবুল আলমকে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দির জন্য হাজির করা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন আকন্দসহ আরো অনেক।

জাগরণ/আরকে