• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২২, ০২:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৫, ২০২২, ০৮:১৩ পিএম

সীমাহীন দূর্ভোগে পৌরবাসি

ধুলায় ধূসর নবীনগর পৌরশহর

ধুলায় ধূসর নবীনগর পৌরশহর

মো.শাহনূর খান, নবীনগর
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগর পৌর শহর ভাসছে যেন ধুলো-বালির উপর। শীতের শেষে নবীনগর পৌরশহর এখন ধুলো-বালি শহরে পরিণত হয়েছে। শহরের প্রায় প্রত্যেকটি রাস্তায় বাতাসের সাথে উড়ছে ধুলো-বালি। রাস্তায় চলাচল দুরহ হয়ে পড়েছে। শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। গাছের সবুজ পাতাকে বিবর্ণ মনে হয়ে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক মাসের বেশি সময় ধরে পৌরশহরের অধিকাংশ সড়কে চলছে সংস্কারের নানা কাজ। রাস্তা কাটা হচ্ছে পানির লাইনের জন্য, ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য। কিন্তু কাজ শেষে হয়ে যাওয়া অংশে রাস্তা আর মেরামত করা হচ্ছে না। ভাঙা–চোড়া সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় সৃষ্টি হচ্ছে ধুলো। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটে, রিক্সা, অটোরিক্সায় রাস্তা অতিক্রম করতে হচ্ছে পৌরবাসীকে।

ধুলো থেকে বাঁচতে প্রতিনিয়ত মুখ ঢেকে চলতে হচ্ছে পৌরবাসিকে। পৌর শহরের ইচ্ছাময়ী গার্লস স্কুল থেকে আদালতের রাস্তাটুকু ধুলো-বালিতে ভয়নাক অবস্হা ধারণ করছে। পৌরশহরের মধ্যপাড়া, পূর্বপাড়া, পশ্চিম পাড়া, মাঝিকাড়া থেকে আলীয়াবাদ বাসস্ট্যান্ড প্রতিটি রাস্তার একই চিত্র।

অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা কেটে সে রাস্তা পুনরায় মেরামত না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগিরা মনে করছেন।

পৌরসভার পানির লাইন ও ড্রেনেজের কাজ শেষে অতিরিক্ত মাটি সড়কে ফেলে রেখে রাস্তার মেরামতের কাজ আর শেষ হয়নি। ভাঙ্গা-চোড়া সড়কেই চলছে যানবাহন। সীমাহীন দূর্ভোগে পড়ছে পৌরবাসি।

পৌর শহরের ইচ্চাময়ী গার্লস স্কুলের পাশের ব্যবসায় শাহ-আলম বলেন, আমরা অনেক বিপদে আছি। প্রতিদিন কয়েকবার করে রাস্তায় পানি দিচ্ছি। ধুলো থেকে বাঁচার জন্য। আমি নিজে শ্বাসকষ্টে ভুগছি। পৌর মেয়রের কাছে রাস্তায় দুই বেলা পানি দেওয়ার দাবি জানান তিনি। 

নবীনগর পৌরভার কন্সজারবেন্সি ইন্সপেক্টর মনির হোসেন বলেন, আমরা দুই বেলা পানি দিচ্ছি। আগামীতে রাস্তা থেকে মাটি সরিয়ে পানি দেওয়া হবে।

নবীনগর পৌরসভার মেয়র এড: শিব শংকর দাস বলেন, বর্তমানে ড্রেনেজ ও পানির কাজ চলছে, আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে এ কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে। তারপর শহরে ধুলো-বালি থাকবে না। পৌরবাসিকে সেই সময়টুকু পর্যন্ত একটু কষ্ট করতে হবে।

জাগরণ/আরকে