রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অবৈধ এক শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়। কিন্তু প্রক্টর এই শিক্ষার্থীকে আবার হলে তুলে দেয়। প্রক্টরের ক্ষমতার এই অপব্যবহারের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মু আলী আসগর।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হলের টিভি রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি হল প্রশাসন কর্তৃক ১২০ নং কক্ষে আবাসিকতা থাকা সত্ত্বেও এক শিক্ষার্থীকে বের করে জনি মিয়া নামে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের ছাত্র অবস্থান করে। এমবস্থায় হল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে হল প্রশাসন ওই দিন বিকেলে অবৈধভাবে অবস্থানকারী জনি মিয়াকে তার জিনিসপত্রসহ মতিহার হল থেকে বের করে দিয়ে হল কর্তৃক ১২০ নং কক্ষে আবাসিকতাপ্রাপ্ত ছাত্রকে তুলে দেওয়া হয়।
ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায়, ওই দিন সন্ধ্যায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান মতিহার হলে আসেন। হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ও অনুপস্থিতিতে আবাসিক শিক্ষককে বিতাড়িত করে অবৈধভাবে অবস্থানকারী জনি মিয়াকে হলে অবস্থানের ব্যবস্থা করেন।’ যা নৈতিকভাবে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
এদিকে প্রক্টরের বিরুদ্ধে প্রাধ্যক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, আমি ওই ছেলেকে হলে তুলে দেয়নি। ওই দিন প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় শৃঙ্খলার স্বার্থে প্রাধ্যক্ষের সাথে একাধিকাবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। ছেলেকে হলে তুলে দেওয়ার সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগর বলেন, প্রক্টর মহোদয়ের অনধিকার চর্চা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে মতিহার হলের ওই কক্ষে আবাসিকতা প্রাপ্ত ছাত্রকে বিতাড়িত করে অবৈধ শিক্ষার্থী জনি মিয়াকে অবস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। যা নৈতিকভাবে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সেকারণে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান প্রাধ্যক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে হলের আবাসিক শিক্ষক নুরুজ্জামান, সুবেদ চন্দ্র দেব শর্মা, রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খ.তা/