• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯, ০৮:৩৪ এএম

বান্দরবানে সড়ক নির্মাণ কাজে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার

বান্দরবানে সড়ক নির্মাণ কাজে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার
বান্দরবানের রাজবিলা সড়কের মাদ্রাসার পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণের মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে -ফাইল ছবি

 

বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের উদালবনিয়া-ঝংকা রাজবিলা সড়ক পাকাকরণ কাজে বালুর পরিবর্তে পাহাড় কেটে লাল মাটি ব্যবহারসহ নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজবিলা-উদালবনিয়া সড়কের পাশে রাবার ড্যাম সংলগ্ন জমির উপর দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ঝংকা রাজবিলা সড়ক। আর এ সড়ক তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আগের সলিং রাস্তা থেকে উঠানো পুরনো ইটের খোয়া।

নির্মাণ কাজের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন জানান, প্রথমে ঝংকার বালু ব্যবহার করেছিলাম। কিন্তু অফিস থেকে বালুর পরিবর্তে লাল বালু (পাহাড়ের মাটি) ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। তাই সড়কের পাশের একটি মাদ্রাসায় ১০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের নিজস্ব জায়গা থেকে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে সেখানকার লাল বালু ব্যবহার করা হচ্ছে সড়ক পাকাকরণ কাজে। তাছাড়া লাল বালু ব্যবহার করার কারণ এর দানা স্থানীয় ঝংকার বালুর চেয়েও বড় এবং সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যবহার উপযোগী। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উদালবনিয়া-ঝংকা রাজবিলা সড়ক পাকাকরণ এর কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) বান্দরবান সদর। কাজ পেয়েছে রাঙ্গামাটি জেলার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান লুম্বিনী এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয় বাসিন্দা অংক্য ও মংজিকে মারমা জানান, এলাকায় ভাল বালু থাকার পরও কেন পাহাড় কেটে লাল মাটি ব্যবহার করছে আমরা জানি না। অভিযোগ দেয়ার মত অফিসের কাউকে এখানে দায়িত্ব পালন করতে দেখি না। খোয়ার উপর বালু ফিলিং এর পর যখন পানি দেয়া হয় তখন পুরা রাস্তা কাদা হয়ে যায়। তাই রাস্তাটি টেকসই হওয়ার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

এদিকে, কাজ চলমান অবস্থায় সংশ্লিষ্ট অধিদফরের একজন কার্যসহকারীর নিয়মিত দেখভালের দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে স্থানীয়দের ধারণা এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সড়কটি নির্মাণের কাজে এই ধরনের অনিয়ম করা হচ্ছে।

১নম্বর রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যঅং প্রু মারমা বলেন, আমি এলাকা পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানোর পরে তারা জানান এটি ব্যবহারের কোনো অসুবিধা নাই। তাছাড়া পরিবেশ আইনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া পাহাড় কাটা যাবে না এবং অবৈধভাবে পাহাড় কাটার শাস্তি হিসেবে দুই বছরের জেল বা ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার অপরাধ করার শাস্তি ১০ বছরের জেল বা অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকলে পরিবেশ আইন তা অমান্য করছে।

বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব বলেন, সহকারী প্রকৌশলী কয়েকদিন আগে সড়কে ব্যবহৃত লাল বালু টেস্টের জন্য নিয়ে এসেছিল। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি এ লাল বালু কোনো আরসিসি বা সিসি কাজে ব্যবহার করা না গেলেও সড়ক পাকাকরণ কাজে ব্যবহার করা যাবে।

এসসি/এএস