• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯, ০৮:৫৪ এএম

যেখানে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত

যেখানে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত মেহেরপুরের মাথাভাঙ্গা মরানদী- ছবি: জাগরণ

 

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত মেহেরপুরের মাথাভাঙ্গা মরানদী। নাম না জানা এসব পাখি স্থানীয়দের কাছে অতিথির মতই সমাদরে আছে। পাখিদের বিচরণ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করে আশেপাশের মানুষের হৃদয় জয় করেছে।

মেহেরপুরের মাথাভাঙ্গা মরানদী- ছবি: জাগরণ

জানা গেছে, গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় মাথাভাঙ্গা মরা নদীর অংশে শীতের শুরুতেই পাখির মিলন মেলা বসেছে। হাজারো পাখির বিচরণে আশেপাশে সৃষ্টি হয়েছে এক ভিন্ন পরিবেশ। পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত গোটা এলাকা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নাম না জানা এসব অতিথি পাখির বিচরণে মুদ্ধ এলাকাবাসী। নদী পাড়ে প্রতিদিনই আশেপাশের লোকজন পাখি দেখতে আসেন। নদীতে ভেসে থাকা কচুরিপানার উপরেই আবাস গেড়েছে পাখিরা। নদীর পানিতে গোসল ও ভেসে বেড়িয়ে সময় পার করে দলবাঁধা ভিন্ন প্রজাতির পাখিগুলো। অপরদিকে পাখিরা যখন দল বেঁধে আকাশে ওড়ে তখন এক ছন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করে।

কলকাকলিতে মুখরিত মেহেরপুরের মাথাভাঙ্গা মরানদী- ছবি: জাগরণ

মহাম্মদপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই পাখিগুলো আসছে। কয়েক বছর হাতে গোনা কিছু পাখি এসেছিল কিন্তু এবার হাজার হাজার পাখির এসেছে। শীতকালে পাখিগুলোর দেখা মেলে। শীত পেরিয়ে গেলে আবারো ফিরে যায় আপন গন্তব্যে।

এদিকে গ্রামের ছেলে,বুড়ো সকলের কাছেই সমাদার পাচ্ছে পাখিগুলো। বিশেষ করে স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের মাঝে পাখি নিয়ে কৌতুহল ও পাখি দেখার আগ্রহের সীমা নেই।

পাখিদের বিচরণ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ- ছবি: জাগরণ

স্থানীয় নবম শ্রেণির ছাত্রী ফারহানা হক বলেন, আমরা রাতে ঘুমাতে যাই পাখির কিচির-মিচির ডাক শুনে আবার একই ডাকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। স্কুল থেকে ফিরে বিকালে নদীপাড়ে পাখি দেখি। এদের বিচরণ খুব ভালো লাগে। এরা যদি সারা বছর থাকতো তাহলে আরো ভালো লাগতো।

স্কুলগামী ছেলেমেয়েরা পাখি দেখছে- ছবি: জাগরণ

স্থানীয় যুবক রাকিবুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা পাখিগুলোকে অতিথির মতই সমাদর করেন। শিকারীদের হাত থেকে পাখি রক্ষায় প্রশাসনের সহায়তা ছাড়াই স্থানীয়রা স্বোচ্ছার। তবে পাখির অভয়ারণ্য সৃষ্টি করা গেলে মাথাভাঙ্গা মরা নদীর এই অংশটি হতে পারে পাখি প্রেমিদের মনোরঞ্জনের অন্যতম স্থান।

সারা আকাশ জুড়ে পাখির মেলা- ছবি: জাগরণ

মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ জানান, ওরা আমাদের অতিথি। তাদের উপর শিকারীদের কোন আক্রমণ না হয় সে ব্যাপারে স্থানীয়দের বলা হয়েছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বলেন, তীব্র শীতের কারণে সুদুর সাইবেরিয়া থেকে হয়তো পাখিগুলো এসেছে। পাখি থাকার স্থানে দর্শনার্থীদের সুবিধা বাড়াতে কি করা যায় তা আমরা ভেবে দেখছি।

টিএফ